গুজবের বাঘ কখন রাখালকে খায়?
বাংলাদেশের বর্তমান রাষ্ট্রযন্ত্র সব বিরোধীকে আনায় আনায় ষোলো আনা পরাস্ত করতে পারলেও একজন এখনো অজেয় রয়ে গেছে। মহাকাব্যের বীরের মতো নয়, করোনাভাইরাসের মতো তার ক্ষমতা। নিজেকে অদৃশ্য রেখে, সময়ে সময়ে রং বদলিয়ে, যেকোনো সময়ে যে কেউকে সে আক্রমণ করে বসতে পারে। তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন রয়েছে, রয়েছে তাকে আটকানোর সাইবার ও রক্তমাংসের বাহিনী। তবু সে দুর্ধর্ষ। দুর্ধর্ষ অর্থ যাকে দমন বা ধ্বংস করা যায় না। বলা যায়, সরকারের অনেক আচরণ থেকেই সে শক্তিশালী হয়ে ওঠে। তার নাম হলো গুজব। সময়টা ফেক নিউজ তথা মিথ্যা সংবাদের যেমন, গুজবেরও তেমন।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরকে কেন্দ্র করে যে রক্তপাত, হরতাল, মৃত্যু ইত্যাদি হয়েছে, তার অন্যতম অনুঘটক ছিল গুজব। গুজব আপনা থেকেই বাড়ে না, যখন গণমাধ্যম সত্য প্রকাশ করতে পারে না, যখন দেশের স্বাভাবিক নেটওয়ার্ক দিয়ে ফেসবুকে প্রবেশ করা যায় না, যখন সরকারি প্রেসনোটের বয়ান থাকে অসংখ্য ছিদ্রে ভরা, তখন সেই ছিদ্রগুলো ভরাট করে গুজব, তখন গণমাধ্যম থেকে মুখ ফিরিয়ে মানুষ যার যার মনমাফিক সত্যে বিশ্বাস করা শুরু করে। তখনই একজন আরেকজনের কানে, স্বকণ্ঠে বা ইলেকট্রনিক উপায়ে বার্তা দিতে থাকে। সেসব বার্তার মধ্যে কোনটা সত্য আর কোনটা মিথ্যা, তা যাচাই করাও দুষ্কর।
- ট্যাগ:
- মতামত
- গুজব
- ষড়যন্ত্র
- সত্যতা যাচাইকরণ