রংবেরঙ একবিংশ শতাব্দীতে শচীন টেন্ডুলকারও!
ভারতের কৃষক আন্দোলন নিয়ে বহির্বিশ্বের সমালোচনাকারীদের এক হাত নিয়েছেন ক্রিকেট আইকন শচীন টেন্ডুলকার। বলেছেন, এটা ভারতের 'অভ্যন্তরীণ' বিষয়। অথচ কিশোর বয়সেই শচীন বিশ্ব অবাক ব্যাট চালিয়ে প্রতিভার ঝলকে চমকে দিয়েছিল। ক্রিকেট মাঠ থেকে যেদিন তিনি বিদায় নিলেন, কী অনবদ্য বিদায়গাথায় হৃদয় ভিজিয়ে দিলে, ক্রীড়াবিশ্ব তাকে শুভাশিসে ভরিয়ে দিল। আহা! এমন হয় না। এত বিশাল ক্রিকেট নক্ষত্র, অথচ কী অসাধারণ পরিমিত। মাঠে, ঘরে, বাইরে।
ক্রিকেট ভুবনের আরেক নক্ষত্র ব্রায়ান লারা, জীবনাচরণে শিথিলতায় দাগ তার। অথচ শচীন নিষ্পাপ সুশীলতার এক আইকন। কত যে অর্জন তার। তবু এতটুকু দাম্ভিকতার নেই ছাপ। এক অসাধারণ রুচিময় পরিবারের বিশ্ব প্রতিনিধি। শেষমেশ সেই রুচিঝলমল পটভূমি কুচি কুচি করে দিলেন। কেন শচীন, কেন? কেন? খুব আঘাত পেয়েছি শচীন! তার নয়নমনোহর কাভার ড্রাইভ, একের পর এক সেঞ্চুরি, রেকর্ডের পর রেকর্ড ভাঙা যে জাদুকরী ক্রিকেট অর্জন, তা তিনি যেন নিমেষে এক বিবৃতিতেই বিকৃত করে দিলেন! ভালোবাসার কোটি কোটি মানুষকে দূরে ঠেলে দিয়ে নিমেষে ঘৃণার পাত্রে পরিণত করে দিলেন! এমনটা কোনোদিন কোনোভাবেই ভাবতেই পারিনি।