কিছু পরিসংখ্যান মাথা উঁচু করতে শেখায়
স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে রক্তস্নাত বাংলাদেশ। ৫০ বছরে আজ বাংলাদেশকে এ পর্যায়ে আসতে অতিক্রম করতে হয়েছে অনেক প্রতিকূলতা-প্রতিবন্ধকতা। যখন বাংলাদেশ এ স্বীকৃতি পেল তখন রক্তমূল্যে অর্জিত এই দেশের মানুষ জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী পালন করছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনকালে আমাদের এ প্রাপ্তি গৌরবের।
এলডিসি থেকে বের হয়ে আসায় আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের শক্তিশালী অবস্থান সৃষ্টি হবে, উন্নয়নের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়া যাবে, বিদেশি বিনিয়োগ আরও আকৃষ্ট হবে, আন্তর্জাতিক ক্রেডিট রেটিং বাড়বে, বড় ধরনের ব্র্যান্ডিং হবে। বাংলাদেশ এখন খুব একটা বৈদেশিক ঋণের ওপর নির্ভরশীল নয়। উন্নয়নশীল দেশের চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলার জন্য যা যা দরকার তা করতে বাংলাদেশ প্রস্তুত। মনে রাখতে হবে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মাত্র সাড়ে তিন বছরে যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশকে ধ্বংসস্তূপের মধ্য থেকে টেনে তুলে স্বল্পোন্নত দেশের কাতারে নিয়ে গিয়েছিলেন। বাংলাদেশকে যারা এক সময় 'তলাবিহীন ঝুড়ি' বলেছিলেন এবং এ দেশটির সম্ভাবনা নেই- নেতিবাচক কথাও বলেছিলেন, তাদের এমন অবজ্ঞাসূচক মন্তব্য মিথ্যা প্রমাণ করে বাংলাদেশ যেহেতু সঠিক নেতৃত্বের কারণে আজ এ পর্যায়ে আসতে পেরেছে, সেহেতু আমাদের লক্ষ্য 'উন্নত রাষ্ট্র' স্তরে পৌঁছানোও দুরূহ হবে না বলেই আশা রাখি।