চীনের নেতারা বিশ্বাসযোগ্য হতে পারে না!
আমি যখন হংকংয়ের গভর্নর ছিলাম, তখন আমার অন্যতম সমালোচক ছিলেন চীনে নিযুক্ত প্রাক্তন ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত স্যার পার্সি ক্র্যাডক। ক্র্যাডক সর্বদা বলতেন যে, চীন কখনই তার প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করবে না। ক্র্যাডক একবার বলেছিলেন, চীনের নেতারা ‘হিংস্র স্বৈরশাসক’ হতে পারে তবে তারা ‘এক কথার মানুষ’ এবং তারা যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তা রাখতে বিশ্বস্ত হতে পারে। পর্যবেক্ষণের প্রথমার্ধের সেই সত্যতার বিস্ময়কর প্রমাণ রয়েছে।
চীনা রাষ্ট্রপতি শি জিনপিংয়ের একনায়কত্ব অবশ্যই উগ্র। জিনজিয়াংয়ের নীতিই বিবেচনা করুন। অনেক আন্তর্জাতিক আইনজীবী যুক্তি দিয়েছিলেন যে এক মিলিয়নেরও বেশি মুসলিম উইঘুরকে কারাগারে আটকে রাখা, জোরপূর্বক নির্বীজনকরণ (সন্তান জন্মদানে অক্ষম করা) ও গর্ভপাত এবং দাসশ্রমের বিষয়টি জাতিসংঘের গণহত্যার সংজ্ঞায় রয়েছে। এমন নিপীড়ন ঠগীসম্প্রদায়ের নির্যাতনকেও ছাড়িয়ে যায়।