৯১ হাজার বিনিময়ে নিজের সন্তানকে অন্যত্র বিক্রি করে দেন বাবা সুলতান। এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে মা সোমা আক্তার সন্তানকে ফিরিয়ে আনতে স্বামীর কাছে বারবার অনুরোধ করেন। এ কথা কানে তুলেননি স্বামী সুলতান।
স্ত্রীকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। পরে সন্তানের শোকে ইউরিয়া সার খেয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় মা সোমা।
বুধবার দুপুরে শেরপুর সদর উপজেলার সাপমারী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরে থানা পুলিশের ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। এ সময় সড়কে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় পড়ে থাকা মাকে উদ্ধার করেন। সেই সঙ্গে পুলিশি তৎপরতা চালিয়ে শিশুটিকেও উদ্ধার মায়ের কোলে ফিরিয়ে দেয়ার ব্যবস্থা করেন। পরে মা ও শিশুকে জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
অন্যদিকে শিশুটির বাবাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, সদর উপজেলার সাপমারী গ্রামের সুলতান ঘরে দুই স্ত্রী রেখে প্রায় আড়াই বছর আগে গাজীপুরের মাওনা এলাকার সোমা আক্তারকে বিয়ে করে বাড়িতে নিয়ে আসে।
এদিকে তাদের দাম্পত্য জীবনে সোমা আক্তার গভবর্তী হয়। সম্প্রতি শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে সোমা সিজারের মাধ্যমে একটি ছেলে সন্তানের জন্ম দেয়। এদিকে সিজারের জন্য স্বামী সুলতান ২২ হাজার টাকা খরচ করেন। পরে সিজারের ২২ হাজার টাকা সুলতান স্ত্রী সোমা আক্তারের কাছে দাবি করেন। টাকা না দিলে সন্তানকে বিক্রি করে টাকা আদায় করবে বলে হুঁশিয়ারি দেয়।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
We use cookies to ensure you get the best experience on our website.