কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

পাল্টে যাচ্ছে আমতলীর মানচিত্র

মানবজমিন আমতলী প্রকাশিত: ৩০ আগস্ট ২০২০, ০০:০০

বরগুনার আমতলীর পায়রা (বুড়িশ্বর) নদীর অব্যাহত ভাঙনে নতুন করে পৌরসভা ও তিনটি ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা নিশ্চিহ্ন হওয়ার উপক্রম হয়েছে। এতে প্রায় দুই সহস্রাধিক পরিবার হুমকির মুখে পড়েছে। ফলে এসব মানুষের চরম অনিশ্চয়তায় দিন কাটছে। পাল্টে যাচ্ছে আমতলীর মানচিত্র। আমতলী উপজেলার পৌরসভা, সদর ইউনিয়ন, আপড়পাংগাশিয়া, চাওড়া ও গুলিশাখালী ইউনিয়নের কোল ঘেঁষে পায়রা নদী প্রবাহিত। ১৯৯৮ সালে আমতলী পৌর শহরকে পায়রা নদীর ভাঙনের হাত থেকে রক্ষায় ‘শহর রক্ষা বাঁধ’ প্রকল্পের অধীনে পাউবোর অফিস থেকে ফেরিঘাট পর্যন্ত ১২০০ মিটার সিসি ব্লক স্থাপন করা হয়। ওই সময় নিম্নমানের কাজ করায় অল্প দিনের মধ্যেই ব্লকগুলো সরে যেতে থাকে। ২০১৪ সালে বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে ও ‘সিডর’ প্রকল্পের আওতায় বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ড ক্ষতিগ্রস্ত এই ১২০০ মিটার সিসি ব্লক মেরামতের কাজ অন্তর্ভুক্ত করেন। সে সময় ‘এমবিইএল’ নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সিসি ব্লক সংস্কারের কার্যাদেশ পায়। এ প্রতিষ্ঠান ১১৫ মিটার সিসি ব্লক সংস্কার করে অবশিষ্ট কাজ ফেলে রেখে চলে যায়। গত ২২ বছর পরে সম্প্রতি সরে যাওয়া সিসি ব্লকের বেশ কয়েকটি স্থানে সংস্কারের কাজ করা হলেও সিসি ব্লকের অধিকাংশ স্থান পায়রার ভাঙনে নদীতে বিলীন হওয়ার পথে। এ ছাড়া ঘূর্ণিঝড় সিডর, আইলা, মহাসেন, রোয়ানু, বুলবুল ও আম্ফানের প্রভাবে ও নদীর স্রোতের তোড়ে সিসি ব্লকগুলো সরে গিয়ে পৌর শহর সংলগ্ন ফেরিঘাট, স্লুইসগেট, লঞ্চঘাট, কাঠপট্টি, শ্মশানঘাট ও পানি উন্নয়ন বোর্ড এলাকার সহস্রাধিক বাড়িঘর পায়রা নদীতে বিলীন হওয়ার উপক্রম হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা আবু জাফর, জালাল মিয়া, আবু হানিফ পায়রা নদীর ভাঙন থেকে আমতলী পৌরশহরকে রক্ষায় দ্রুত শহর রক্ষা বাঁধের সরে যাওয়া সিসি ব্লকগুলো সংস্কারের জন্য সরকারের কাছে দাবি জানান।আমতলী পৌর মেয়র মতিয়ার রহমান বলেন, পায়রা নদীর ভাঙনে প্রতিদিনই পৌরশহরের আয়তন ছোট হয়ে আসছে। ক্ষতিগ্রস্ত শহর রক্ষা বাঁধের পুরনো সিসি ব্লকের বেশ কয়েকটি স্থানে সংস্কারের কাজ করা হলেও এখনো বেশকিছু স্থানে সংস্কার প্রয়োজন। এ শহরকে রক্ষায় পায়রা নদীর তীরে কমপক্ষে তিন কিলোমিটার সিসি ব্লক নির্মাণ করা প্রয়োজন বলে তিনি জানান। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনিরা পারভীন বলেন, পায়রা নদীর ভাঙন সম্পর্কে ইতিমধ্যে আমি পানি উন্নয়ন বোর্ডকে জানিয়েছি। তাদের ভাঙনরোধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বলেছি। বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. কায়সার আলম মুঠোফোনে বলেন, পায়রা (বুড়িশ্বর) নদীর ভাঙনকবলিত এলাকা সম্পর্কে ডিজাইন করে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে অবহিত করে একটি প্রস্তাবনা পাঠিয়েছি। প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ পেলে ভাঙনরোধে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া সম্ভব হবে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও