রাজাবাজারের অভিজ্ঞতা প্রয়োগ হবে ওয়ারীতে
রাজধানীর রাজাবাজারে লকডাউন চলাকালে যেসব অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে সরকার, সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে ওয়ারীতে লকডাউন বাস্তবায়ন করা হবে। রাজাবাজারে যেসব ত্রুটি-বিচ্যুতি ও চ্যালেঞ্জ ধরা পড়েছে ওয়ারীর ক্ষেত্রে সেগুলো সর্বোচ্চ গুরুত্ব পাবে। পাশাপাশি নতুন নতুন কৌশল, নাগরিকদের মতামত গ্রহণ ও কর্মপদ্ধতি প্রয়োগেরও চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। এজন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকেও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এমন ধারণা পাওয়া গেছে।
ডিএসসিসি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ মো.এমদুল হক বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘সব অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়েই আমরা ওয়ারীতে লকডাউন কার্যকর করবো। এখানে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদফতর, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, পুলিশ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ যারা এই কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে, তাদের সবার অভিজ্ঞতা অনুযায়ী পরামর্শ গ্রহণ করা হয়েছে। সেটি কাজে লাগানো হবে। আমরা আশা করছি, রাজাবাজারে প্রথম দিকের তুলনায় শেষ দিকে যেভাবে সংক্রমণ কমে এসেছে, ঠিক সেভাবে ওয়ারীতেও কমে আসবে।’
দক্ষিণ সিটি করপোরেশন বলছে, রাজাবাজারে যেসব স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (এসওপি) প্রয়োগ করা হয়েছে, ওয়ারীতেও সেগুলো প্রয়োগ করা হবে। এজন্য গত বুধবার (১ জুলাই) ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসের সভাপতিত্বে জোনিং সিস্টেম বাস্তবায়ন বিষয়ক কেন্দ্রীয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় ২০টি এসওপি চূড়ান্ত করা হয়।
য়ারীর লকডাউন প্রসঙ্গে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেছেন, আমরা ওয়ারীতে লকডাউন ফলপ্রসূ করার জন্য আরও শলা-পরামর্শ করতেছি। কীভাবে এটাকে আরও কার্যকর করা যায় সে বিষয়টিও ভাবা হচ্ছে। রাজাবাজারে যেসব অভিজ্ঞতা হয়েছে, সেগুলো যথাযথ কাজে লাগানো হবে। এছাড়া যাদের মাঠে-ময়দানের অভিজ্ঞতা আছে, আমরা সেগুলোকেও কাজে লাগাবো। আমরা যেখানে লকডাউন কার্যকর করেছি, সেখানে সফল হচ্ছি। আবার কিছুটা ভুলও আছে এটাও ঠিক। রাজাবাজারে যা দেখলাম, তাতে তো দেখা যাচ্ছে— লকডাউন সংক্রমণ প্রতিরোধে কিছুটা হলেও কার্যকর পদক্ষেপ।
ডিএসসিসি বলছে, ওয়ারীকে লকডাউন করা তাদের জন্য একটি চ্যালেঞ্জের বিষয়। কারণ, ডিএসসিসি’র কোনও এলাকা এই প্রথম লকডাউন কারা হচ্ছে। আবাসিক এলাকার পাশাপাশি ব্যবসায়িক দিক থেকেও ওয়ার্ডটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। সেই হিসেবে মানুষকে কতটা মানানো যাবে, সে বিষয়টিকেও চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছে ডিএসসিসি।