কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

খুলনা অঞ্চলে রাষ্ট্রায়ত্ত ৯ পাটকল শ্রমিকরা ফের আন্দোলনে

বণিক বার্তা প্রকাশিত: ২৬ জুন ২০২০, ২২:০৩

বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশন (বিজেএমসি) নিয়ন্ত্রিত রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলে উৎপাদন বন্ধে সরকারি সিদ্ধান্ত সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নে প্রস্তুতিমূলক এক সভা আগামী ২৭ জুন বিজেএমসি দফতরে অনুষ্ঠিত হবে। এমন একটি চিঠির খবর পেয়ে খুলনা অঞ্চলের রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ৯ পাটকল শ্রমিকরা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন। মিল চালু রাখতে শ্রমিকরা রাজপথে নামার প্রস্তুতি হিসাবে বৃহস্পতিবার খুলনার ৯টি পাটকলে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন।

রাষ্ট্রায়ত্ব পাটকল সিবিএ-নন সিবিএ ঐক্য পরিষদের উদ্যোগে সকাল ১০টায় খুলনার ক্রিসেন্ট, প্লাটিনাম, খালিশপুর, স্টার, দৌলতপুর, আলিম, ইস্টার্ন, যশোরের জেজেআই ও কার্পেটিং জুট মিল গেটে একযোগে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে মিলের উৎপাদন চালু রাখা, নিয়মিত মজুরি প্রদান, পাট ক্রয়ের অর্থ বরাদ্দের দাবি জানান হয়।

সমাবেশ শ্রমিক নেতা শাহানা সারমিন, হুমায়ন কবির, দ্বিন ইসলাম, মাওলানা হেমায়েত উদ্দীন আজাদী, মুরাদ হোসেন, সোহরাব হোসেন, আবু দাউদ দ্বীন মোহাম্মদসহ, বিল্লাল হোসেন, আলাউদ্দিনসহ অন্যান্যরা বক্তৃতা করেন।

প্লাটিনাম জুটমিলের সিবিএর সভাপতি শাহানা শারমিন বলেন, গত ২৪ জুন প্রতিটি পাটকলে বিজেএমসির সচিব এ এফ এম এহতেশামুল হক স্বাক্ষারিত একটি চিঠি আসে। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, বিজেএমসি নিয়ন্ত্রিত রাষ্ট্রায়ত্ত্ব পাটকলের উৎপাদন বন্ধে সরকারি সিদ্ধান্ত সুষ্ঠভাবে বাস্তবায়নের জন্য পস্তুতিমূলক সভা আগামী ২৭ জুন বিজেএমসি দফতরে আহ্বান করা হয়েছে। সেখানে পরিচালক ও পাটকলের প্রকল্প প্রধানদের ডাকা হয়েছে। এ চিঠির সংবাদে শ্রমিকদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। যে কারণে তারা আন্দোলনের প্রস্তুতি হিসেবে একযোগে সকল মিলগেটে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন। সমাবেশে মিল বন্ধের ষড়যন্ত্র রুখতে আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানান তিনি।

খালিশপুর জুট মিলের শ্রমিক জরিনা বেগম বলেন, আমরা সাধারণ শ্রমিক বিনা কাজে কখনও মজুরি নেইনি। কাজ করে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে যা রোজগার করি তাই দিয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে দুমুঠো খেয়ে বেঁচে আছি। মিলের উৎপাদন বন্ধ করে দিলে আমরা কীভাবে বাঁচব।

প্লাটিনাম জুটমিলের শ্রমিক কওছার আলী বলেন, শ্রমিক বান্ধব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যদি বলেন তোমাদের সকল অর্থ বুঝিয়ে দেওয়া হবে। তোমাদের আর মিলের কাজে আসতে হবে না। সেদিন বুঝব পাটকল বন্ধ করা হয়েছে। আর অন্য কেউ বললে তা বিশ্বাস করবো না।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও