করোনার দিনে তীব্র গরমে র্যাশ চুলকানি, ঘামাচি থেকে রক্ষায়
করোনার চিন্তায় মানুষ অস্থির, এরমধ্যে আবার গত কয়েক দিনের গরমে জনজীবন অতিষ্ঠ। অনেকের শরীরেই দেখা দিচ্ছে বিরক্তিকর র্যাশ, চুলকানি বা ঘামাচি। এগুলো থেকে মুক্তি পেতে ব্যবহার করুন খুব সাধারণ কিছু উপাদান। জেনে নিন: লেবু খাওয়ার পর আমরা লেবুর খোসা ফেলেই দিয়ে থাকি। লেবুর খোসা বরং পানিতে ফুটিয়ে নিন ভালো করে। এরপর এই পানি ঠান্ডা করে গোছল করুন। দেখবেন দেহের ত্বকের ঘামাচি, র্যাশের সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন সহজেই এবং সেই সঙ্গে গায়ের ঘামের দুর্গন্ধও কমে যাবে। এক টুকরো সুতির পাতলা কাপড়ে কয়েক টুকরো বরফ নিয়ে পুটুলি বানান। এবার আস্তে আস্তে ঘামাচির উপর বরফের পুটুলি বুলিয়ে নিন ও চেপে ধরুন।
দিনে ছয়ঘণ্টা অন্তর এভাবে দু’তিনদিন করলেই ভালো ফল পাবেন। তবে বরফে অনেকের ঠাণ্ডা লেগে যেতে পারে, যদি ঠাণ্ডার সমস্যা না থাকে তাহলে বরফ ঘষতে পারেন। নিমপাতা বেটে শরীরে লাগিয়ে রাখুন, আধাঘণ্টা পরে ঠাণ্ডা পানিতে গোসল করে নিন। শরীরের ব্যাকেটেরিয়া দূর হবে। ঘামাচি দূর করতে মুলতানি মাটিও খুব উপকারী। ৪ থেকে ৫ টেবিল চামচ মুলতানি মাটি, ২ থেকে ৩ টেবিল চামচ গোলাপজল দিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করুন। পেস্টটি মেখে ১ ঘণ্টা রেখে ঠাণ্ডা পানিতে ধুয়ে ফেলুন।
অ্যালোভেরার জেলও ঘামাচি দূর করতে সাহায্য করে। জেল বের করে আক্রান্ত জায়গায় লাগিয়ে শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। এবার ঠাণ্ডা পানিতে গোসল করে নিন আলু পাতলা পাতলা করে স্লাইস করে ঘামাচি আক্রান্ত স্থানে ঘষুন। এতে ঘামাচি কমে যাবে ও অস্বস্তিকর চুলকানি থেকেও রেহাই পাবেন। করোনার জীবাণু আমাদের হাতের নখের থেকে শরীরে প্রবেশ করতে পারে। এজন্য চুলকানো যাবে না। বেশি অস্বস্তি হলে সেই স্থানে তুলা ভিজিয়ে মুছে নিন।