![](https://media.priyo.com/img/500x/https%3A%2F%2Fassetsds.cdnedge.bluemix.net%2Fbangla%2Fsites%2Fdefault%2Ffiles%2Fstyles%2Fbig_2%2Fpublic%2Ffeature%2Fimages%2Ficu_5.jpg%3Fitok%3DdMGv2QbM)
করোনা চিকিত্সা: ৮ জেলার জন্য আইসিইউ বেড ১৩টি
গুরুতর করোনা রোগীদের চিকিৎসায় রংপুর বিভাগের আটটি জেলায় আইসিইউ বেড রয়েছে ১৩টি। এর মধ্যে দিনাজপুরে তিনটি ও রংপুরে ১০টি আইসিইউ বেড থাকলেও বাকি ছয় জেলায় আইসিইউ সুবিধা নেই।
অতিরিক্ত দুটি আইসিইউ বেড চিকিৎসকদের জন্য সংরক্ষিত। এছাড়াও করোনা আক্রান্ত নন এমন রোগীদের জন্য সরকারি হাসপাতালগুলোতে ২০টি বেড বরাদ্দ আছে।
পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, নীলফামারী, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধা- এই ছয় জেলার সরকারি হাসপাতালে কোনো আইসিইউ সুবিধা নেই।
রংপুর বিভাগের আট জেলার ৫৮টি উপজেলার মধ্যে বর্তমানে ১ হাজার ২৯২টি হাসপাতালের বেড রয়েছে। এর মধ্যে কোভিড-১৯ রোগীদের জন্য আইসোলেশন ওয়ার্ডে ৮৩৭টি বেড রাখা হয়েছে।
রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ৮৩৭টি শয্যার মধ্যে রংপুরে ২৫১, কুড়িগ্রামে ৫০, লালমনিরহাটে ৯৬, দিনাজপুরে ১১০, পঞ্চগড়ে ৫০, ঠাকুরগাঁওয়ে ১০০, গাইবান্ধায় ৮০ ও নীলফামারিতে ১০০টি আছে।
এছাড়াও, রংপুর বিভাগের অন্যান্য ৫০ উপজেলার আইসোলেশন ওয়ার্ডে ৪৫৫টি বেড করোনা রোগীর চিকিৎসায় প্রস্তুত করা হয়েছে।
বাড়ছে কোভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যা
রংপুর বিভাগের আট জেলায় প্রতিদিনই বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। এর মধ্যে রংপুরে সবচেয়ে বেশি ৭৪০ জন আক্রান্ত ও লালমনিরহাটে সবচেয়ে কম ৭০ জন আক্রান্ত হয়েছেন।
গত ১০ মার্চ থেকে শনিবার পর্যন্ত আটটি জেলায় করোনা শনাক্ত হয়েছে ২ হাজার ২১৫ জন। এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ৩৮ জন। সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৯ জন।
শনিবার পর্যন্ত রংপুরে ১৭০ জন করোনা রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, কোভিড -১৯ রোগীদের চিকিত্সার জন্য এই আটটি জেলায় ৬০ জন চিকিৎসক রয়েছেন।
রংপুর ডেডিকেটেড করোনা আইসোলেশন হাসপাতালে ১০টি আইসিইউ বেড রয়েছে। ওই হাসপাতালের সুপারিনটেনডেন্ট ডা. এস এম নুরুনবী জানান, শুক্রবার পর্যন্ত তার হাসপাতালে ২০৫ জন কোভিড-১৯ রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন। তাদের মধ্যে ১১১ জন রোগী হাসপাতাল ছেড়েছেন ও ছয় জন মারা গেছেন বলে জানান তিনি।
পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে রংপুর বিভাগের একাধিক চিকিৎসক জানান, করোনা রোগীদের সংখ্যা বাড়ছে। আইসিইউ সুবিধা বাড়ানো প্রয়োজন।
দিনাজপুরের স্বেচ্ছাসেবী দল ‘দিনাজপুর করোনভাইরাস প্রতিরোধ কমিটি’র সদস্য সচিব রেজাউর রহমান রেজু জানান, দিনাজপুর সদরের এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে আইসিইউ বেডের সংখ্যা বাড়ানো জরুরি।
তিনি বলেন, ‘সংকট মোকাবিলার জন্য তিনটি আইসিইউ বেড যথেষ্ট না।’