করোনা পরিস্থিতিতে স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে বাণিজ্যিক সুবিধা দিতে যাচ্ছে চীন। ভারত ও চীনের মধ্যে সীমান্ত সংঘাতের সময়ে দেওয়া এই বাণিজ্যিক সুবিধার বিষয়টিকে ভারতের একটি গণমাধ্যমে শিষ্টাচার বহির্ভূত ও অত্যন্ত অমার্জিত ভাষায় নেতিবাচকভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। এ নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক, সাংবাদিক, উন্নয়নকর্মী সবাই এ বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এমনকি অনেকে সরাসরি দাবি করেছেন সরকারের পক্ষ থেকে শক্ত প্রতিবাদের।এ বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের মন্তব্য, এটি অনভিপ্রেত। জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘এটা নট ওয়েলকাম।’ এ বিষয়ে প্রতিবাদের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় তারা খুব আপসেট।
এটা নিয়ে আমার মনে হয় না প্রতিবাদ করার প্রয়োজন আছে।’সাংবাদিক নেতা মনজুরুল আহসান বুলবুল লিখেছেন, ‘আনন্দবাজার পত্রিকার ধৃষ্টতা…পত্রিকাটির ২০ জুনের অনলাইন সংস্করণে “লাদাখের পর ঢাকাকে পাশে টানছে বেজিং” শিরোনামের খবরের প্রথম লাইন: “বাণিজ্যিক লগ্নি আর খয়রাতির টাকা ছড়িয়ে বাংলাদেশকে পাশে পাওয়ার চেষ্টা নতুন নয় চীনের”।‘১. বাংলাদেশের জন্য আনন্দবাজারের অপমানকর এই বক্তব্য অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে। ২. ঢাকা থেকে যে নিজস্ব সংবাদদাতা এই খবর এই ভাষায় পাঠিয়েছেন তার সম্পর্কেও ব্যবস্থা নিতে হবে।‘বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্ক বন্ধুত্বপূর্ণ ও সম্মানজনক। আনন্দবাজার পত্রিকার এই আচরণ বিপরীতমুখী। গ্রহণযোগ্য নয়। সরকারিভাবেই এর প্রতিবাদ জানানো উচিত।’
গাজী টেলিভিশন (জিটিভি), সারাবাংলা.নেট ও দৈনিক সারাবাংলার (প্রকাশিতব্য) এডিটর-ইন চিফ সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা লিখেছেন, ‘কলকাতার আনন্দবাজার পত্রিকার সাংবাদিকতাকে খোদ কলকাতাতেই “বাজারি সাংবাদিকতা” বলা হয়। এবার কি তারা শুরু করলো খয়রাতি সাংবাদিকতা? চীন নাকি খয়রাতি সাহায্য ছড়াচ্ছে বাংলাদেশের জন্য!!! সাংবাদিকতার সামান্য নীতি-নৈতিকতা মানলে একটা রিপোর্টে এমন মন্তব্য আসতে পারে না। রিপোর্টটি আবার গেছে ঢাকা থেকে, যিনি নিশ্চয়ই বাংলাদেশের নাগরিক!‘ভারত-বাংলাদেশ চমৎকার সম্পর্ক। এটি দিন দিন সমৃদ্ধ হচ্ছে।
দুটি দেশের এমন সুন্দর সম্পর্কের মাঝে এটি কী ধরনের সাংবাদিকতা? চীন তার নিজস্ব অর্থনৈতিক বিবেচনায় কিছু পণ্যে শুল্ক সুবিধা দিয়েছে, সেটা খয়রাতি সাহায্য হয় কী করে?‘কিছু লোকের আবার চুলকানি শুরু হবে ভারত নিয়ে। এখানে ভারতের দোষ কোথায়? এটা একটা পত্রিকার ভাষ্য। ভারত অবশ্যই বাংলাদেশের আন্তরিক বন্ধু সেটা ’৭১ সালেই প্রমাণিত। এখনও সেই বন্ধুত্ব প্রতিষ্ঠিত।’বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক কাজী আনিস তার স্ট্যাটাসে লেখেন, ‘এই আনন্দবাজার আমি পড়ি না। সিরিয়াসলি। অনেক বিজ্ঞ আর শিক্ষকদের কথায় কথায় সুসাংবাদিকতার জন্য পত্রিকাটির উদাহরণ টানতে দেখি।
আমি সেই বিজ্ঞদের মতো হতে পারিনি। আমি দেখি “সাংবাদিকতা” হয়েছে কিনা। সেটা অজোপাড়ার কোনও অঞ্চলের গণমাধ্যম হলেও। জনপ্রিয়তাই সবকিছু নয়... ছন্দে বন্দে মন্দে দ্বন্দ্বে লেখাই সাংবাদিকতার মাপকাঠি নয়।’উন্নয়ন ও অধিকারকর্মী শাহানা হুদা লিখেছেন, ‘আমরা চাই বাংলাদেশ সরকার আনন্দবাজার পত্রিকার এই জঘন্য প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাক।’আরও পড়ুন:বাংলাদেশকে ৯৭ শতাংশ পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা দেবে চীন
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
We use cookies to ensure you get the best experience on our website.