ফুলপুরে ছিন্নমূল করোনা রোগীদের জন্য আইসোলেশন কেন্দ্র নির্মাণ
সারাদেশে বিপদজনক ভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। এখন পর্যন্ত আক্রান্ত রোগীদের অধিকাংশ উচ্চবিত্ত বা মধ্যবিত্ত হওয়ায় উপসর্গ বিহীন ও মৃদু উপসর্গের রোগীদের বাড়িতে হোম আইসোলেশন রাখা সম্ভব হচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশের জনগণের একটি বড় অংশ হতদরিদ্র, বস্তিবাসী। তারা একই কক্ষে স্বপরিবারে বসবাস করে। এবং বহু পরিবার মিলে একই টয়লেট ব্যবহার করে। এমতাবস্থায় এমন বস্তিবাসী বা ছিন্নমূল জনগোষ্ঠীর কেউ আক্রান্ত হলে তাদের আইসোলেশনে রাখা কঠিন হয়ে যাবে। অন্যদিকে তারা বাধ্য হয়ে সরকারি হাসপাতালের জায়গা দখল করলে জটিল রোগীরা হাসপাতালে জায়গা না পেয়ে বিপদের মুখে পড়বে। এছাড়া হতদরিদ্র মানুষ আক্রান্ত অবস্থায় পুষ্টিকর খাবারের অভাবে সঠিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরিতে সক্ষম নাও হতে পারে। এসমস্ত মানবিক বিষয় বিবেচনায় নিয়ে অসহায়, দুস্থ ও ছিন্নমূল জনগোষ্ঠীর কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের আইসোলেশনের জন্য " শান্তি নগর " নামে একটি কোভিড ১৯ আইসোলেশন কেন্দ্র স্থাপন করেছে ময়মনসিংহের ফুলপুরের স্বেচ্ছাসেবীরা।
সারাদেশের ভাসমান, ছিন্নমূল, বস্তিবাসি ৫০০ জন রোগীর সেবাদনের লক্ষ্য নিয়ে প্রাথমিক ভাবে ৫০ জন রোগীর আইসোলেশন ও সার্বিক সেবাদানের মাধ্যমে শুরু হয়েছে সম্পূর্ণ স্বেচ্ছাসেবকদের মাধ্যমে পরিচালিত এই কোভিড আইসোলেশন কেন্দ্র।
শুক্রবার (১৯ জুন) বিকালে ফুলপুর সরকারি কলেজের ৪র্থ তলায় শান্তি নগর নামে কোভিড-১৯ আইসোলেশন কেন্দ্র উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম। এ সময় ফুলপুর পৌরসভার মেয়র মো. আমিনুল হক, ফুলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমারত হোসেন গাজী, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক ময়মনসিংহের মহাব্যবস্থাপক জামিল আহমেদ, ন্যাপ বিশেষজ্ঞ মাজহারুল হক, শান্তি নগর কোভিড-১৯ আইসোলেশন কেন্দ্রের প্রকল্প মহাপরিচালক ও হেলডস্ ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক তাসফিক হক নাফিও, ফুলপুর প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. নুরুল আমিন, ফুলপুর প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি মো. খলিলুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এই আইসোলেশন কেন্দ্রে প্রত্যেক রোগীর জন্য আলাদা ও উন্নত মানের আবাসন ব্যবস্থা, উন্নতমানের খাবার, পুষ্টিকর খাবার, ফলমূল, নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম, চিত্তবিনোদনের ব্যবস্থা করা হবে।