ওয়াসার পানির বর্ধিত দাম আদায়ে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে রিটের শুনানি ২২ জুন
কার্যকর হওয়া পানির বর্ধিত দাম আদায় থেকে ঢাকা ওয়াসা কর্তৃপক্ষকে বিরত রাখতে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে করা রিট শুনানির জন্য ২২ জুন দিন রেখেছেন হাইকোর্ট। আজ বুধবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এ দিন ধার্য করেন।
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে উদ্ভূত পরিস্থিতির মধ্যে ১ এপ্রিল থেকে পানির দাম প্রায় ২৫ শতাংশ বাড়ানোর সূত্র ধরে পানি সরবরাহ ও পয়োনিষ্কাশন কর্তৃপক্ষ আইনের কয়েকটি ধারা চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. তানভীর আহমেদ ১৫ জুন রিটটি আদালতে দাখিল করেন। আদালতে রিটের পক্ষে আবেদনকারী নিজেই শুনানি করেন। ওয়াসার পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মাহবুবে আলম, যিনি রাষ্ট্রের অ্যাটর্নি জেনারেলও। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার। পরে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মাহবুবে আলম প্রথম আলোকে বলেন, ওয়াসার পক্ষে সময় চাওয়া হলে আদালত ২২ জুন শুনানির জন্য দিন রেখেছেন।
এর আগে ওয়াসা কর্তৃপক্ষ এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পানি সরবরাহ ও পয়োনিষ্কাশন কর্তৃপক্ষ আইনের ২২(১) ও ২২(৩) ধারার বলে পানির প্রকৃত উৎপাদন ও বিতরণ ব্যয়ের সঙ্গে বিক্রয়মূলের সামঞ্জস্য বিধান এবং বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বৃদ্ধিজনিত খরচ সমন্বয়ের লক্ষ্যে সরকারের অনুমোদনক্রমে প্রতি এক হাজার লিটার পানির অভিকর (দাম) আবাসিকে ১১ টাকা ৫৭ পয়সার স্থলে ১৪ টাকা ৪৬ পয়সা এবং বাণিজ্যিকে ৩৭ টাকা ৪ পয়সার স্থলে ৪০ টাকা নির্ধারণ করা হলো। সংশোধিত অভিকর (দাম) ওই আইনের ২৩ ধারা অনুসারে ১ এপ্রিল থেকে কার্যকর হবে।
রিট আবেদনকারীর যুক্তি, ওয়াসা কর্তৃপক্ষ গত বছরের ১ সেপ্টেম্বর ৫ শতাংশ হারে পানির দাম বৃদ্ধি করে। এ বছর প্রায় ২৫ শতাংশ দাম বাড়িয়ে বিজ্ঞপ্তি দেয়, যা ১ এপ্রিল থেকে কার্যকর হয়েছে। এ হিসাবে এক অর্থবছরেই দুবার দাম বাড়ানো হয়। অথচ আইনের ২২ (২) ধারা অনুসারে দাম (অভিকর বা চার্জ) প্রতি অর্থবছরে একবার অনধিক ৫ শতাংশ পর্যন্ত হারে বাড়ানো যায়। আইনের ২২ (১) ধারায় বছরে একবার বাড়ানোর বিষয়ে বলা আছে। আইনের ২৩ ধারা অনুসারে নির্ধারণ করা পানির দাম কার্যকরের ৩০ দিন আগে তা জনসাধারণের কাছে প্রকাশ করতে হবে। প্রায় ২৫ শতাংশ বর্ধিত দাম কার্যকরের ওই বিজ্ঞপ্তিটি ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়, যেখানে তারিখ উল্লেখ নেই। তাই এটি আইনের দৃষ্টিতে বৈধ বিজ্ঞপ্তি হতে পারে না।