করোনার ১০০তম দিনে আঠারোতম অবস্থানে বাংলাদেশ
করোনা আক্রান্তের ১শ' তম দিনে এসেও সংক্রমণের উর্ধ্বগতিতে বাংলাদেশ। শনাক্তের দিক দিয়ে আঠারোতম অবস্থান নিয়ে মোকাবিলার নতুন পরিকল্পনার দিকে এখন সরকার। এরই মধ্যে ঢাকার দুই সিটির মোট ৪৫টি এলাকা রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হলেও এখন আসনি বাস্তবায়নের নির্দেশনা। ৮ মার্চ ২০২০ প্রথম করোনা শনাক্ত হয় বাংলাদেশে। তিন মাস পেরিয়ে ১৫ জুন শততম দিন। এরই মধ্যে শনাক্তের দিক দিয়ে আঠারোতম অবস্থানে বাংলাদেশ। গত এক'শ দিনে সাত দফায় সাধারণ ছুটি শেষে এবার চলছে নতুন পরিকল্পনার প্রস্তুতি। আর চলমান বাস্তবতা বলছে শনাক্ত কিংবা মৃতের সংখ্যাটা এক কথায় ক্রমবর্ধমান। এরই মধ্যে সংকটের নাম টেষ্টের হার কম, হাসপাতালের অব্যবস্থাপনা, আইসিউই স্বল্পতা আর অক্সিজেনের টানাপড়েন।
জনপ্রসাশনের ঘোষণা মতে চলতিমাসের প্রথম ১৫ দিনটা সীমিত পরিসরে সব খুলে দিয়ে চলছে পরীক্ষামূলক কার্যক্রম। এরই মধ্যে টেষ্ট কেস হিসেবে পূর্ব রাজাবজার হয়েছে লকডাউন। কথা ছিলো এই অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে নেয়া হবে পরবর্তী সিদ্ধান্ত। এরই মধ্যে বেশ কিছু এলাকা ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনায় তালিকা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তবে সেসব এলাকার বিষয়ে কোন সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি তারা। আইইডিসিআর বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আলমগীর বলেন, এই বিষয়ের ওপর এখনও কাজ চলছে। মোটামুটি যেসব এলাকা দেয়া হয়েছে সেসব এলাকাই হবে। এলাকাভিত্তিক ছোট ছোট জায়গায় হবে।
বিশেষ করে ফোকাস থাকবে রেডজোন এলাকাতে। অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে সব মন্ত্রণারয়ের সমন্বয় নিশ্চিত করতে সময় লাগছে। করোনাকালের শততম দিনে এসে সিদ্ধান্ত গ্রহণে এমন টালমাটাল অবস্থায় কিছুটা অস্বস্তিতে সাধারণ মানুষ। নিয়ম অনুসারে রেড জোন এলাকায় সাধারণ ছুটি ও নিত্যপণ্য সরবরাহে বিশেষ ব্যবস্থা করবে স্থানীয় সরকার বিভাগ। আর বাস্থবায়নে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর পাশাপাশি সহায়তা করবে আর্মড ফোর্সেস ডিভিশন।