করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য করণীয় বিষয়ে সফররত চীনের ১০ সদস্যের বিশেষজ্ঞ মেডিকেল টিমের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের চিকিৎসকরা। গতকাল সকাল থেকে বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত এই বৈঠক চলে। করোনা রোগীদের চিকিৎসাসহ চিকিৎসকদের নিরাপত্তা ও সামগ্রিক বিষয়াদি নিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
সভা শেষে ঢাকা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. খান আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘মূলত আমাদের এখানকার করোনা রোগীদের বিষয়ে তাদের সঙ্গে কথা হয়েছে। তারা বলেছেন, বিশ্বের কোথাও এখনো এর প্রতিষেধক বের হয়নি। অনেক দেশেই প্লাজমা থেরাপি দেওয়া হচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত অক্সিজেন সাপোর্টই এর মূল চিকিৎসা বলে তারা জানিয়েছে।’ অধ্যক্ষ আরও বলেন, ‘চীনের কাছে কিছু অক্সিজেন সাপোর্ট ডিভাইসের প্রস্তাব দিয়েছি।
তারাও এটি আমাদের দিতে রাজি হয়েছেন। চীনে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ার পর সেখানে রাষ্ট্র কী পদক্ষেপ নিয়েছিল, তাদের চিকিৎসকদের পিপিই থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য নিরাপত্তার জন্য কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল এবং সেখানকার রোগীদের কী ধরনের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে সে বিষয়ে এই বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। তারা একটি বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছে যে, কারও করোনা উপসর্গ দেখা দিলে বাসায় সবার সঙ্গে থাকার দরকার নেই। তাকে আইসোলেশনে অন্যত্র রাখতে হবে।’
চীনের এই ১০ সদস্যের বিশেষজ্ঞ মেডিকেল টিমের প্রধান ছিলেন ডা. লি ওয়েনশিউর। আলোচনা ও পরামর্শ সভায় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিন, ঢাকা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. খান আবুল কালাম আজাদ এবং করোনা ইউনিটের চিকিৎসকসহ হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তারা।
এর আগে বুধবার চীনা মেডিকেল টিমের সদস্যরা রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে যান। সেখানে হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স ও উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে তাদের অভিজ্ঞতা বিনিময় করেন। এ দিন বিকালে চীনা প্রতিনিধি দল সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) পরিদর্শন করেন। মঙ্গলবার চীনা প্রতিনিধি দলের সদস্যরা মহাখালীর স্বাস্থ্য অধিদফতরে যান। সেখানে তারা স্বাস্থ্য অধিদফতরের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে দিনভর আলোচনা করেন।
এ সময় বাংলাদেশের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি চীনা প্রতিনিধি দলের সদস্যদের কাছে তুলে ধরা হয়। করোনাভাইরাস সংক্রমণের মধ্যে চীনের ১০ সদস্যের মেডিকেল টিম গত ৮ জুন ঢাকায় আসে। এ দলে চীনা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, নার্স এবং প্রযুক্তিবিদ রয়েছেন। চীনা মেডিকেল টিম বাংলাদেশে দুই সপ্তাহ অবস্থান করবে। এ সময় তারা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের পরিদর্শন করবেন এবং মনোনীত হাসপাতাল, কোয়ারেন্টাইন সেন্টার ও পরীক্ষাকরণ কেন্দ্রগুলোতে কাজ করবেন।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
We use cookies to ensure you get the best experience on our website.