সচিবের পর এবার বদলি হচ্ছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পিএস’ও!
বছরের শুরুতে দুর্নীতির অভিযোগে সরিয়ে দেওয়া হয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেকের সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) আরিফুর রহমান সেখকে। স্বাস্থ্যসেবায় নানা অব্যবস্থাপনা ও করোনাকালের সংকট মোকাবিলায় কার্যত ব্যর্থতার আলোচনা যখন তুঙ্গে, তখন বদলি করা হয় স্বাস্থ্যসেবা সচিব আসাদুল ইসলামকে। গত ৪ জুন এই বিভাগে এসেছেন নতুন সচিব। এবার স্বাস্থ্যমন্ত্রীর একান্ত সচিব (পিএস) মো. ওয়াহেদুর রহমানকেও বদলি করা হচ্ছে বলে জনপ্রশাসনের নির্ভরযোগ্য একাধিক সূত্রে জানা গেছে।
দুর্নীতি, অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার অভিযোগে জর্জরিত এই মন্ত্রণালয়ে ‘শুদ্ধি অভিযান’ চলছে বলে মনে করছেন প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা। এর ধারাবাহিকতায় একের পর এক পরিবর্তন আনা হচ্ছে। সূত্র জানায়, স্বাস্থ্যমন্ত্রীর একান্ত সচিব পদে পরিবর্তনের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এখনো চূড়ান্ত হয়নি। তবে সবঠিক থাকলে শিগগির এই পরিবর্তন হতে যাচ্ছে বলে জানা গেছে। এর আগে ২০১৯ সালের ৯ জানুয়ারি স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের পিএস হিসেবে নিয়োগ পান ওয়াহেদুর রহমান। এর আগে তিনি মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের উপসচিব ছিলেন। সরকারের প্রশাসনের একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে আলাপে জানা গেছে, স্বাস্থ্যখাতে কেনাকাটা, নিয়োগ, বদলি-পদায়ন, বরাদ্দ, অনুমোদনসহ নানা খাতে দুর্নীতি-অনিয়মের অভিযোগ বেশ পুরনো। দীর্ঘদিন ধরেই এটি চলে আসছে।
গত মার্চে দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দিলে স্বাস্থ্যসেবা খাতের নানা অনিয়ম সামনে আসে। বেরিয়ে আসে অনেক দুর্নীতির খবর। ভেতরে ভেতরে স্বাস্থ্যখাতে যে এতটা অব্যবস্থাপনা চলছে তা চলমান সংকটকালে দৃশ্যপটে এসেছে। এসব কারণে সরকার প্রধানের ইচ্ছায় প্রতিষ্ঠানটিতে ধীরে ধীরে চালানো হচ্ছে শুদ্ধি অভিযান। পরিবর্তন আনা হচ্ছে মন্ত্রণালয়ের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন পদে।পুরনোদের খোলনলচে বদলে ফেলে দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে নতুনদের।
গত ৪ জুন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের নতুন সচিব হিসেবে মো. আবদুল মান্নানকে নিয়োগ দিয়েছে সরকার। এর আগে তিনি ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান ছিলেন। অভিযোগ আছে, বিভিন্ন হাসপাতালে যন্ত্রপাতি কেনাকাটায় অনিয়মের পেছনে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দপ্তর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কারো কারো যোগসাজশ রয়েছে। যারা কমিশনের বিনিময়ে বিভিন্ন সরকারি হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজে পছন্দের ঠিকাদারকে কাজ পাইয়ে দেন। এসব কারণেই যন্ত্রপাতির বাজারমূল্য থেকে কয়েকগুণ বেশি অর্থ আদায় করার সুযোগ পান ঠিকাদাররা। অপব্যয় হয় সরকারি অর্থের। এছাড়া মন্ত্রণালয়ের আরও নানাখাতে আর্থিক অনিয়মের সঙ্গেও তাদের জড়িত থাকার অভিযোগ আছে।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
We use cookies to ensure you get the best experience on our website.