১৪ লাখ কোটি টাকার বিকল্প বাজেট প্রস্তাব বিইএর
আগামী জুলাই থেকে শুরু হতে চলা ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য প্রায় ১৪ লাখ কোটি টাকার বিকল্প বাজেট প্রণয়নের প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি (বিইএ)। সংস্থাটি বলছে, প্রস্তাবিত এ বাজেট চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরে অর্থমন্ত্রী কর্তৃক প্রস্তাবকৃত বাজেটের তুলনায় ২ দশমিক ৪৭ গুণ বেশি।বিইএ বলছে, তাদের বাজেটের আকার ১৩ লাখ ৯৬ হাজার ৬০০ কোটি টাকা, যা জিডিপির ৫৪ দশমিক ৯ শতাংশ।
আর প্রস্তাবিত এ বাজেটে সরকারের রাজস্ব আয় থেকে আসবে ১২ লাখ ৬১ হাজার ৬০০ কোটি টাকা, অর্থাৎ মোট বাজেট বরাদ্দের ৯০ দশমিক ৬ শতাংশের জোগান দেবে সরকারের রাজস্ব আয়। আর বাজেটের বাকি ৯ দশমিক ৪ শতাংশ অর্থাৎ ঘাটতি অর্থায়নের ১ লাখ ৩৫ হাজার কোটি টাকা জোগান দেবে সম্মিলিতভাবে বন্ড বাজার, সঞ্চয়পত্র বিক্রয় থেকে ঋণ গ্রহণ এবং সরকারি-বেসরকারি যৌথ অংশীদারিত্ব।বিইএ তাদের প্রস্তাবনায় আরো বলছে, বাজেটে মোট রাজস্ব থেকে আয় সরকার চলমান অর্থবছরের যে প্রস্তাব করেছিল, তার চেয়ে ৩ দশমিক ৩ গুণ বেশি।
আর এ প্রস্তাবিত বাজেট অর্থায়নে কোনো বৈদেশিক ঋণের প্রয়োজন হবে না। সরকারের মোট রাজস্ব আয়ের মধ্যে ৭৯ শতাংশ হবে প্রত্যক্ষ কর এবং ২১ শতাংশ হবে পরোক্ষ কর।ব্যয় বরাদ্দের বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটি বলছে, তাদের প্রস্তাবনায় বাজেটের ব্যয় বরাদ্দ কাঠামোতে গুণগত রূপান্তর ঘটবে। মোট বরাদ্দ ও আনুপাতিক বরাদ্দে উন্নয়ন বাজেট হবে পরিচালন বাজেটের চেয়ে অনেক বেশি, যা এখন ঠিক উল্টো।