সিলেটে করোনায় নার্সিং কর্মকর্তার মৃত্যু, সংক্রমিত ১৩ র্যাব সদস্য
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সিলেট শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালের রুহুল আমিন নামে এক নার্সিং কর্মকর্তা (ব্রাদার) মারা গেছেন। গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া তিনি প্রথম নার্সিং কর্মকর্তা। এছাড়াও র্যাবের ১৩ সদস্য করোনাভাইরাসে সংক্রমিত শনাক্ত হয়েছেন।
সিলেটের ডা. শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালকে করোনা আইসোলেশন সেন্টার হিসেবে ঘোষণা করে করোনা রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। রুহুল আমিন এই হাসপাতালের সিনিয়র নার্স হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
নার্সিং কর্মকর্তার মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা (আরএমও) সুশান্ত কুমার মহাপাত্র বলেন, করোনা আক্রান্ত হয়ে তিনি কয়েকদিন ধরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। সেখানেই রাতে তিনি মারা যান।
বাংলাদেশ নার্সেস অ্যাসোসিয়েশন, সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল শাখার সাধারণ সম্পাদক ইসরাইল আলী সাদেক জানান, রুহুল আমিন নার্সিং কর্মকর্তা হিসেবে শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন। করোনা রোগীদের সেবা দিতে গিয়ে নিজেই করোনা আক্রান্ত হন। দায়িত্বরত অবস্থায় করোনা আক্রান্ত হয়ে বাংলাদেশে প্রথম ব্রাদার (নার্স) হিসেবে মারা গেলেন তিনি।
এদিকে, শুক্রবার র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-৯ এর ১৩ কর্মকর্তার করোনা শনাক্ত হয়েছে। শুক্রবার সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে নমুনা পরীক্ষায় র্যাবের সিলেট ইউনিটের ১৩ সদস্যের করোনা শনাক্ত হয়।
এরআগে চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিশ, সাংবাদিকসহ অনেকের করোনা শনাক্ত হলেও সিলেটে এই প্রথম র্যাব সদস্যদের করোনা শনাক্ত হলো।
র্যাবের ১৩ সদস্যের করোনা শনাক্তের বিষয়টি নিশ্চিত করে র্যাব-৯ এর এএসপি (মিডিয়া) ওবাইন বলেন, শুক্রবার আমাদের ১৬ জন সদস্যের নমুনা পরীক্ষার জন্য ল্যাবে পাঠানো হয়। এরমধ্যে ১৩ জনের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। শনাক্ত হওয়া বেশিরভাগেরই কোনো উপসর্গ নেই। বাকীদের হালকা জ্বর-সর্দি রয়েছে।