কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

ব্যক্তিগত উদ্যোগে মানুষ বাড়ি যেতে পারবে, বাধা দেবে না পুলিশ

বাংলা ট্রিবিউন প্রকাশিত: ২৩ মে ২০২০, ০১:৪৬

ঈদুল ফিতরের ছুটিতে ব্যক্তিগত গাড়িতে বাড়ি ফেরা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা চলছে। তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ব্যক্তিগত গাড়ি নয়, ব্যক্তিগত ব্যবস্থায় বাড়ি ফেরা মানুষকে বাধা না দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। পুলিশকে এই নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে। নির্দেশনা পাওয়ার পরপরই ঘরে ফেরা মানুষকে ঠেকাতে কঠোর অবস্থান থেকে সরে এসেছে পুলিশ। তবে সরকারের এই নির্দেশনার কারণে দেশজুড়ে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কয়েকগুণ বেড়ে যাবে বলে মনে করছেন অনেকেই।সরকারের প্রভাবশালী একজন মন্ত্রী বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, বৃহস্পতিবার একটি ট্রাক দুর্ঘটনায় ১৩ জন মারা গেছেন। এর মধ্যে, শিশুও ছিল। সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে অনেকেই বিষয়টি নিয়ে মর্মাহত। সে কারণে বলা হয়েছে, মানুষ বাড়ি যেতে চাইলে যাবে। বাধা না দিতে। কিন্তু করোনাভাইরাসের এই লকডাউনে আগের মতো সবকিছু বন্ধ থাকবে।

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার দিকে গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে ঢাকা-রংপুর মহাসড়কে রড বোঝাই ট্রাক উল্টে ১৩ জন নিহত হয়েছেন।ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মো. শফিকুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘গণপরিবহন তো শুরু থেকেই বন্ধ। এখন মানুষ যেভাবে পারে যাবে, সেটা তাদের ব্যক্তিগত বিষয়। সরকারের নির্দেশনায় মানুষ ব্যক্তিগত উদ্যোগে বাড়ি যেতে পারবে। এখন আর বাধা দেবে না পুলিশ। কিন্তু গণপরিবহন বন্ধ থাকবে।'সংশ্লিষ্টরা জানান, গত ১৭ মে থেকে ঢাকায় প্রবেশ ও বের হওয়ায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ডিএমপি। নগরীতে প্রবেশ ও বের হওয়ার পথে চেকপোস্ট বসিয়ে মানুষের চলাচল কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তারপরও নানা অজুহাতে ও বিভিন্ন উপায়ে ঢাকা ছাড়ছিল মানুষ। এ অবস্থায় সরকারের নতুন নির্দেশনা আসার পর পুলিশের সব ইউনিট প্রধানদের কাছে তা জানিয়ে দেওয়া হয়। এরপর থেকেই কঠোর অবস্থান থেকে সরে আসে পুলিশ। তবে শুধুমাত্র ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহার করে গ্রামে ফেরা যাবে এই খবর ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনা শুরু হয়।পুলিশের একজন কর্মকর্তা জানান, লকডাউনের কারণে গণপরিবহন বন্ধ। তারপরও মানুষ নানা কৌশলে লুকিয়ে লুকিয়ে গ্রামের বাড়ি ফেরার চেষ্টা করছিল। দেশের ৬৪ জেলার পুলিশ সুপারদেরও এ বিষয়ে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল।

উত্তরবঙ্গের একটি জেলার পুলিশ সুপার বলেন, ‘আইজিপির নির্দেশনার পর আমরা কঠোরভাবে ঘরে ফেরার বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করছিলাম। এখন আমরা নতুন নির্দেশনা পেয়েছি। আমরা নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করছি।’ওই কর্মকর্তাও বলেন, ‘সরকারের পক্ষ থেকে নতুন নির্দেশনা মতে, এখন থেকে কেউ ব্যক্তিগত গাড়িতে বা ব্যক্তিগত ব্যবস্থায় চলাচল করলে কোনও বাধা দেওয়া হবে না। কেউ যদি ব্যক্তিগত উদ্যোগে ভাড়া করা গাড়িতে চলাচল করে তাতেও বাধা দেওয়া হবে না।’পুলিশের হেড কোয়ার্টারের একজন কর্মকর্তা জানান, মৌখিকভাবে মানুষকে বাড়ি ফিরতে বাধা না দিতে বলা হয়েছে। শুধু নিরাপত্তার স্বার্থে তল্লাশি হবে। গ্রামে ফেরা লোকজনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। যদিও এই নির্দেশনা লিখিতভাবেও দেওয়া হয়নি। পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের এআইজি (মিডিয়া) মো. সোহেল রানা বলেন, ‘আমরা সরকারের নির্দেশনা পেয়েছি, ঈদে সাধারণ মানুষ বাড়ি ফিরতে পারবে।’ তবে গণপরিবহন আগের মতোই বন্ধ থাকবে বলে জানান তিনি।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও