শেখ হাসিনার একার লড়াই

জাগো নিউজ ২৪ প্রভাষ আমিন প্রকাশিত: ১৮ মে ২০২০, ১০:৪২

আওয়ামী লীগাররা সবসময় বলে, শেখ হাসিনাই শেষ ভরসা। তাদের একটি খুব প্রিয় স্লোগান 'শেখ হাসিনার হাতে দেশ, পথ হারাবে না বাংলাদেশ'। তাদের এই অতি শেখ হাসিনা নির্ভরতাটা আমার ঠিক পছন্দ নয়। একটা গণতান্ত্রিক সরকারের এতটা ব্যক্তিকেন্দ্রিক হওয়া ঠিক শোভন নয়। এই অতি শেখ হাসিনা নির্ভরতা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের অথর্ব ও জনবিচ্ছিন্ন করে তুলেছে। তারা বুঝে গেছেন, তাদের আর জনগণের কাছে যেতে হবে না। নির্বাচন এলে শেখ হাসিনা পাস করিয়ে দেবেন। তাই তারা সুযোগ পেলে দুর্নীতি করেন, নিজেরা মারামারি করেন; কিন্তু জনগণের জন্য কিছুই করেন না। সাধারণ মানুষও বিষয়টি জানে। তাই তারাও সবকিছুতে শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করে। খাদ্যের জন্য খাদ্যমন্ত্রী নয়, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নয়, এমপিওভুক্তির দাবি শিক্ষামন্ত্রীর কাছে নয়; সব দাবি, সব আবদার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে।

এ আমাদের এক অসম্ভব চাওয়া। কিন্তু এক যুগ ধরে শেখ হাসিনা সেই অসম্ভবকে সম্ভব করে চলেছেন। বিশাল মন্ত্রিসভা আছে, বিশাল আমলাতন্ত্র আছে। কিন্তু কাজ সব শেখ হাসিনাকে একাই করতে হয়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শিশুর জন্য চকলেট পাঠানো, প্রিয় গায়িকার জন্মদিনে টেলিভিশনের লাইভ অনুষ্ঠানে ফোন করে উইশ করা থেকে শুরু করে দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দল, জোটের দলের ঝামেলা, এমনকি মূল বিরোধী দলের মহাসচিবের চিকিৎসার তদারকিও তিনিই করেন। তিনি অর্থনীতি বোঝেন, জাতীয়-আন্তর্জাতিক রাজনীতি বোঝেন, কূটনীতি বোঝেন। সব সামলান এক হাতে। আসলে তাঁর হাত যেন দুটি নয়, তিনি যেন শতভূজা।

তাঁর সাফল্যের তালিকা অনেক লম্বা। কিন্তু ব্যর্থতার তালিকার ওপরের দিকেই থাকবে একটি দক্ষ ও ভাইব্র্যান্ট মন্ত্রিসভা গঠন করতে না পারা। একটি জনবান্ধব, দেশপ্রেমিক কর্মীবাহিনী বানাতে না পারা। শেখ হাসিনার অনেক সমালোচনা আছে। গত একযুগে তাঁর নেতৃত্বাধীন সরকারেরও নানান ব্যর্থতা আছে। কিন্তু আমি ব্যক্তি শেখ হাসিনার কর্মস্পৃহা দেখে বিস্মিত হয়ে যাই। ৭৩ বছর বয়সী একজন মানুষ দেশের সবচেয়ে ব্যস্ত, সবচেয়ে কর্মক্ষম, সবচেয়ে বেশি সময় কাজ করা মানুষ। সবচেয়ে ব্যস্ত। কিন্তু কিছুই ভোলেন না তিনি। তাঁর যেন হাজারটা চোখ। কোনোকিছুই তাঁর নজর এড়ায় না। আগে আমিও শেখ হাসিনার এই একক কর্তৃত্বের সমালোচক ছিলাম। আমি চাইতাম, সবাই নিজ নিজ দায়িত্বটা পালন করুক। তাতে শেখ হাসিনা আরও নির্ভার থাকতে পারবেন, আরও বেশি করে দেশ নিয়ে ভাবতে পারবেন। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পলিসি ইস্যুতে সময় দিতে পারবেন। কিন্তু করোনার এই সময়ে আমার বিশ্বাস হয়েছে, শেখ হাসিনাই আসলে শেষ ভরসা।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও