প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক প্যাকেজ শুভঙ্করের ফাঁকি: বিএনপি
বিগত ৪ এপ্রিল বিএনপি করোনাজনিত প্রভাব মোকাবিলায় ৮৭ হাজার কোটি টাকার ইকোনমিক প্যাকেজ ঘোষণা করলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রস্তাবিত সে প্যাকেজের ভেতরে না ঢুকে খুবই কটূ ভাষায় বিএনপি মহাসচিবকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করে প্যাকেজটিকে ‘কল্পনা-বিলাস’ বলে প্রত্যাখ্যান করেন। অথচ পরদিনই প্রধানমন্ত্রীর ৭২ হাজার ৫শ কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা এবং পহেলা বৈশাখের ভাষণে সর্বমোট ৯৫ হাজার ৬১৯ কোটি টাকার অর্থনৈতিক প্যাকেজ ঘোষণা প্রমাণ করে যে বিএনপি ঘোষিত প্যাকেজটি ছিল বাস্তবভিত্তিক। শুক্রবার (১৭ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর একথা বলেন। মির্জা ফখরুল বলেন, প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ৯৫ হাজার ৬১৯ কোটি টাকার অর্থনৈতিক প্যাকেজটি কলেবরে বড় হলেও এটি মূলত একটি শুভঙ্করের ফাঁকি। পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে প্রণোদনা বলা হলেও মূলত অধিকাংশই ব্যাংকনির্ভর ঋণ-প্যাকেজ। যা বিভিন্ন সেক্টরের ব্যবসায়ী মহলকে দেওয়া হবে ব্যাংক- গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে। এতে সরকারের প্রণোদনা নিতান্তই অপ্রতুল। ‘সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে ব্যাংক-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতেই ব্যাংকগুলো থেকে ঋণ পাচ্ছে কেবল সরকারি ক্যাডার এবং সরকারি আশীর্বাদপুষ্ট কিছু নব্য ধনী ও সীমিত সংখ্যক ব্যবসায়ী। এতে ভিন্নমতাবলম্বিদের কোনো সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না। অথচ প্রস্তাবিত ব্যাংক-ঋণ প্যাকেজটি থেকে বর্তমানে বিরাজমান ব্যাংক-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে ঋণ দেওয়া হলে সরকারদলীয় লোকজনই লাভবান হবে। প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা এ ঋণ-প্যাকেজের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবে বলেই আমাদের আশংকা।’
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
We use cookies to ensure you get the best experience on our website.