ক্ষতিকর রাসায়নিক ব্যবহারে মৎস্যপণ্য বাজারজাতে ৭ বছর জেল
ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করে মৎস্য বা মৎস্যপণ্য বাজারজাত করলে সাত বছরের কারাদণ্ড বা পাঁচ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রেখে ‘মৎস্য ও মৎস্যপণ্য (পরিদর্শন ও মাননিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০২০' এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার (৬ এপ্রিল) গণভবনে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এ আইনের অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এরআগে আইনের খসড়া গত বছরের ১৯ মার্চ মন্ত্রিসভা বৈঠকে উপস্থাপন করা হলে নীতিগতভাবে অনুমোদন দেওয়া হয়। আইনে বলা হয়েছে, লাইসেন্স গ্রহণ ছাড়া কোনো ব্যক্তি মৎস্য ও মৎস্যপণ্য রপ্তানি, কারখানা স্থাপন বা প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনা করতে পারবে না। পরিদর্শনকারী কর্মকর্তা পরিদর্শনকালে কারখানা বা স্থাপনার স্বাস্থ্যকর পরিবেশ বজায় না রাখা এবং প্রক্রিয়াজাতকরণে মানের ব্যত্যয় হলে অপরাধীর বিরুদ্ধে অনধিক পাঁচ লাখ টাকা প্রশাসনিক জরিমানা করার বিধান দেওয়া হয়েছে। কারখানা বা স্থাপনার মালিক নির্ধারিত পদ্ধতিতে কারখানা বা স্থাপনার স্বাস্থ্যকর পরিবেশ ও স্যানিটারি ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করবেন। মৎস্য ও মৎস্যপণ্য আমদানি ও রপ্তানি বিধানাবলী নিয়ে বলা হয়, রপ্তানির ক্ষেত্রে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনাপত্তিপত্র গ্রহণ করতে হবে। বিদ্যমান অধ্যাদেশে বর্ণিত অপরাধের শাস্তি হিসেবে ৬ মাস পর্যন্ত কারাদণ্ড বা ৫ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড নির্ধারণ করা আছে। প্রস্তাবিত আইনে কারাদণ্ডের মেয়াদ ও জরিমানার পরিমাণ যৌক্তিকভাবে বাড়ানো হয়েছে। কোনো ব্যক্তি রপ্তানি বা অভ্যন্তরীণ বাজারে ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করে মৎস্য বা মৎস্যপণ্য বাজারজাত করলে শাস্তি অনধিক সাত বছর (কিন্তু ৫ বছরের নিচে নয়) কারাদণ্ড বা পাঁচ লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড নির্ধারণ করা হয়েছে। দূষিত মাছ বিক্রি করলে অনধিক পঞ্চাশ হাজার টাকা জরিমানার বিধান আছে আইনে।