অবিলম্বে ‘চিকিৎসা জরুরি অবস্থা’ জারির আহ্বান বিএনপির
বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাস মোকাবিলায় অবিলম্বে বাংলাদেশে ‘চিকিৎসা জরুরি অবস্থা’ জারির আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি। বৃহস্পতিবার নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে আলাপকালে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এই আহ্বান জানান।রিজভী বলেন, বিশ্ববাসী প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসের ভয়াবহতায় আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। সমগ্র বিশ্ব এক অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে চলছে। মহামারি ছড়িয়ে পড়েছে দেশে দেশে। প্রতি মুহূর্তে নতুন আক্রান্ত আর মৃত্যুর মিছিল বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। লকডাউন, আইসোলেশন, সেল্ফ কোয়ারেন্টাইনে সম্পূর্ণরুপে থমকে পড়েছে স্বাভাবিক জনজীবন। প্রতিটি দেশ ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব থেকে পরিত্রাণ পেতে অন্য দেশ থেকে নিজেদের বিচ্ছিন্ন করে ফেলেছে। ভয়ঙ্কর এক কঠিন পরিস্থিতিতে উপণীত হয়েছি আমরাসহ বিশ্ববাসী। বাংলাদেশে কোভিড-১৯ সংক্রমণ নিশ্চিত হওয়ার জন্য ন্যূনতম প্রয়োজনীয় টেস্ট কিট, চিকিৎসকদের পিপিই কিংবা হাসপাতালে পর্যাপ্ত আইসিইউর প্রচণ্ড অভাব। সারাদেশের হাসপাতাল থেকে হাজার হাজার স্যাম্পল আসছে অথচ টেস্ট করতে পারছে মাত্র ৭০-৮০টি। এই অপ্রস্তুত দৃশ্যপটের মধ্যে সামনে আরো কঠিন পরিস্থিতি ধেয়ে আসছে। গোটা দেশবাসী শঙ্কিত-আতঙ্কিত। এই অবস্থার দ্রুত অবসান জরুরি।তিনি বলেন, এই ভয়াল করোনাভাইরাস মোকাবিলায় অবিলম্বে দেশে ‘চিকিৎসা জরুরি অবস্থা’ ঘোষণা ও তা কার্যকর করার দাবি জানাচ্ছি আমরা। ডাক্তারসহ স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা ব্যবস্থার সঙ্গে জড়িত প্রত্যেকের কাজকে অত্যাবশ্যকীয় ঘোষণা এবং বিশেষ বোনাস প্রদান, চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের পর্যাপ্ত সংখ্যক মেডিকেল সরঞ্জাম, পিপিই, করোনা টেস্ট কিট সরবরাহ করে দেশের প্রতিটি উপজেলায় করোনাভাইরাস পরীক্ষার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ, প্রবীণ ও স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে থাকা নাগরিকদের চিকিৎসা সেবায় বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ, করোনা ভাইরাসের কারণে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, কৃষি শ্রমিক, গার্মেন্টস ও শিল্প কারখানার শ্রমিক এবং বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার ক্ষতিগ্রস্ত মানুষকে আর্থিক সহায়তার উদ্দেশে দ্রুততার সঙ্গে পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন এবং দেশে কমপক্ষে আগামী ছয় মাসের জন্য জাতীয় কিংবা স্থানীয় সকল নির্বাচন স্থগিত করারও দাবি জানাই আমরা।