কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

প্রতীকী ছবি

স্মার্টফোন আদমানিতে বাড়তি ১৫ শতাংশ বর্ধিত কর প্রত্যাহারের দাবি বিএমবিএর

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিয়.কম
প্রকাশিত: ১৯ জুন ২০১৯, ২০:১৫
আপডেট: ১৯ জুন ২০১৯, ২০:১৫

(প্রিয়.কম) ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের বাজেটে স্মার্টফোন আদমানির ওপর আরোপ করা বাড়তি ১৫ শতাংশ বর্ধিত কর প্রত্যাহার চেয়েছে বাংলাদেশ মোবাইলফোন ব্যবসায়ী অ্যাসোসিয়েশন (বিএমবিএ)।

১৯ জুন, বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ২০১৯-২০ সালের প্রস্তাবিত বাজেট পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি তুলে ধরে বিএমবিএ সভাপতি মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন জিটু।

তিনি বলেন, ‘নতুন আমদানি শুল্ক ডিজিটাল বাংলাদেশের লক্ষ্য অর্জনে বাধা তৈরি করবে। অবৈধভাবে স্মার্টফোন আমদানি উৎসাহিত হবে। এতে করে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা ঝুঁকিও বাড়বে।’

নতুন শুল্ক কাঠামো বাস্তবায়ন হলে বছরে প্রায় ছয় হাজার কোটি টাকার অর্থপাচার হওয়ার শঙ্কা রয়েছে উল্লেখ করে বিএমবিএ সভাপতি বলেন, ‘কেবল অর্থ পাচার নয় সরকারের রাজস্ব আয়ও কমে যাবে। বছরে প্রায় দুই হাজার কোটি টাকার রাজস্ব হারাবে সরকার। যেখানে আমদানি শুল্ক কমালে সরকারে বাড়তি এক হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ হল প্রস্তাবিত বাজেট অনুযায়ী সরকার যে হারে আমদানি শুল্ক নিবে এতে করে অবৈধভাব স্মার্টফোন আমদানি আরও বেড়ে যাবে।’ 

বাংলাদেশ মোবাইলফোন ব্যবসায়ী অ্যাসোসিয়েশন (বিএমবিএ)’র পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনে তুলে ধরা বক্তব্যে বলা হয়, ‘মূল্যবৃদ্ধির ফলে স্মার্টফোন ক্রেতাসাধারণের নাগালের বাইরে চলে যাবে। স্মার্টফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা বৃদ্ধির সুযোগ হাতছাড়া হবে। প্রত্যন্ত অঞ্চলে স্মার্টফোনের মাধ্যমে সেবা গ্রহীতার সংখ্যা বৃদ্ধির গতি হবে শ্লথ। সরকারের চালু করার নতুন প্রযুক্তি (ফোরজি, এলটিই) সেবা থেকে বঞ্চিত হবে নগর থেকে গ্রাম- সবখানের মানুষ। এটি সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশের লক্ষ্য অর্জনে বিরাট অন্তরায়।’

বর্তমানে ১০ শতাংশ আমদানি শুল্কের কারণে স্মার্টফোন আমদানিতে মোট করের পরিমাণ ৩২ শতাংশ। প্রস্তাবিত ২৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক বৃদ্ধির প্রস্তাব বাস্তবায়ন করলে সর্বমোট করের পরিমাণ দাঁড়াবে প্রায় ৫৭ শতাংশ। এতে করে আমদানি করা স্মার্টফোনের মূল্যবৃদ্ধি পাবে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রদেয় স্মার্টফোন কর ৩১.৭৫ শতাংশ থেকে ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট অনুযায়ী কর হবে ৫৭.৩১ শতাংশ; যা পূর্ববর্তী বছরের তুলনায় ৭৫ শতাংশ বেশি এবং বিশ্বের যেকোনো দেশের তুলনায় অনেক বেশি। ভারতে সিবিইউ (CBU) ও এসকেডি (SKD) ’র করের পার্থক্য ১৫ শতাংশ, সেখানে বাংলাদেশে এর পার্থক্য দাঁড়াচ্ছে ৪০ শতাংশের উপরে।

বিএমবিএ’র লিখিত বক্তব্যে বলা হচ্ছে, আমদানি নির্ভর মোবাইল শিল্পের সাথে দেশের প্রায় ২০ হাজার মানুষ প্রত্যক্ষ ও লক্ষাধিক পরিবার পরোক্ষভাবে জড়িত। স্মার্টফোন আমদানীর উপর অতিরিক্ত ২৩ শতাংশ করারোপের ফলে এসব পরিবারের ভবিষ্যৎ ও জীবনযাত্রার মান ব্যাহত হওয়ার আশংকা রয়েছে। স্মার্টফোন সংযোজন কারখানা স্থাপন করার মাধ্যমে এই বিশাল জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থান করা সম্ভবপর হতে পারে; তবে তা সময়সাপেক্ষ।

সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, স্থানীয়ভাবে সংযোজন কারখানা স্থাপনকে উৎসাহিত করতে আমদানি শুল্ক বাড়ানো হচ্ছে বলে অর্থমন্ত্রী উল্লেখ করেছেন। বাংলাদেশে মোবাইল ফোন তথা স্মার্টফোন শিল্পের সম্ভাবনা প্রচুর। আমরাও বিশ্বাস করি এদেশে স্মার্টফোনের কারখানা স্থাপিত হলে একদিকে যেমন দেশের অর্থনীতি অধিক সমৃদ্ধ হবে, সেইসাথে ব্যাপক কর্মসংস্থানও সৃষ্টি করবে। কিন্তু আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডের স্মার্টফোন কারখানা স্থাপন তথা বিদেশি বিনিয়োগের জন্য পারিপার্শ্বিক প্রস্তুতি নিতে আরো অন্তত দুই বছর সময় প্রয়োজন। বিষয়টি বিবেচনার জন্য সরকারের নিকট অনুরোধ করছি।

প্রিয় প্রযুক্তি/কামরুল