
কলা খেতে পছন্দ করেন না, এমন মানুষ কমই আছে। ছবি: সংগৃহীত
কোষ্ঠকাঠিন্য হলে কি কলা খাওয়া যাবে?
আপডেট: ০৫ মার্চ ২০১৯, ১৭:৩৮
(প্রিয়.কম) কলা খেতে পছন্দ করেন না, এমন মানুষ কমই আছে। বিশেষ করে কম সময়ে চট করে খেয়ে নেওয়ার জন্য এই ফলটি বেশ কাজের। পুষ্টিকর এই ফলটি বেশিরভাগ সময়ে সকালে খেয়ে থাকেন অনেকে। তবে কলা নিয়ে একেকজনের একেকরকম মতামত আছে। কেউ মনে করেন, কলা খেলে পেট কষে যায়। কেউ আবার বলেন, তা খেলে পেট ছেড়ে দেয়। আসলে কলা কোষ্ঠকাঠিন্যের জন্য ভালো না খারাপ?
আসলে কলা পাকা নাকি কাঁচা, তার ওপরে এই বিষয়টি নির্ভর করে। কারণ কাঁচা কলায় প্রচুর পরিমাণে রেজিসট্যান্ট স্টার্চ আছে, যা শরীর সহজে হজম করতে পারে না। ডায়রিয়ার সমস্যায় কাঁচা কলা খেতে বলা হয়। অন্যদিকে কলা পাকার সঙ্গে সঙ্গে এই স্টার্চ সুগারে পরিণত হয় এবং তা হজম করা সহজ। পাকা কলায় বেশি পরিমাণে ফাইবার থাকে বলে তা মলত্যাগে সহায়ক। তাই কোষ্ঠকাঠিন্য হলে কাঁচা কলা খাওয়া যাবে না, কিন্তু পাকা কলা খাওয়া যেতেই পারে।
শিশুদের পাকা কলা খাওয়ানো যাবে কি না, তা নিয়েও অনেকের মাঝে মতভেদ আছে। অনেকে ভাবেন, পাকা কলা চটকে নিলে বাচ্চাকে তো দেওয়া যায়ই। কিন্তু ছয় মাস বয়স পর্যন্ত শিশুদেরকে শুধু ব্রেস্টফিডিং করানো উচিত। ছয় মাস পার হলে বাচ্চাকে চটকানো পাকা কলা দেওয়া যেতে পারে। এর সঙ্গে দুধ বা দই মিশিয়েও খাওয়ানো যেতে পারে দিনে এক বা দুই বার। তবে কলার প্রতি কিছু শিশুর অ্যালার্জি থাকতে পারে। তেমন লক্ষণ দেখা গেলে শিশুর ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলুন।
সূত্র: এনডিটিভি
প্রিয় লাইফ/আশরাফ