টানা তাপপ্রবাহের পর বেশ কয়েকদিন বৃষ্টি হচ্ছে। এসময়ে বাতাসের মান বেশ ভালো। স্বস্তির এই বৃষ্টিতে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো কোনো এলাকায় জলাবদ্ধতার ভোগান্তি থাকলেও গরমের হাহুতাশ থেকে অনেকটাই স্বস্তি ফিরেছে জনজীবনে। তবে নতুন করে অস্বস্তি বাড়াচ্ছে ডেঙ্গুর প্রকোপ। এরই মধ্যে ঢাকাসহ দেশের সব বিভাগ ও সিটি করপোরেশন থেকেই ডেঙ্গু সংক্রমণের খবর পাওয়া যাচ্ছে। ঈদের ছুটিতে ডেঙ্গুর চোখ রাঙানি আরও বাড়ার আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের।
তারা বলছেন, ঈদের ছুটিতে বিভিন্ন শহর ও নগরী অনেকটাই ফাঁকা হয়ে যাবে। অনেকে এসময়ে গ্রামে চলে যাবেন। এসময় বাসাবাড়ির আঙিনা, সানসেটের ওপর, বারান্দা বা ছাদে পানি জমে এডিস মশার বংশবিস্তারের সুযোগ বাড়বে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ঈদে বিভিন্ন শহরের মানুষ গ্রামে চলে গেলে ফাঁকা বাসাবাড়িগুলোতে বৃষ্টির পানি জমে এডিস মশার প্রজনন কেন্দ্র হয়ে উঠতে পারে। রাস্তায় পানি জমে থাকলেও এডিস মশার বিস্তার হতে পারে। তাদের পরামর্শ, সিটি করপোরেশনসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে এ বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করতে হবে। নাগরিকদেরও যতটা সম্ভব খেয়াল রাখতে হবে, বাসাবাড়িতে বৃষ্টির পানি যেন লম্বা সময় জমে না থাকে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর গত ৩ জুন আগের ২৪ ঘণ্টার যে তথ্য দিয়েছে তাতে দেখা যায়, একদিনে সারাদেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন ১১৪ জন। এরমধ্যে বরিশালে সবচেয়ে বেশি। সবচেয়ে কম ময়মনসিংহে। ওই ২৪ ঘণ্টায় বরিশালে ৭৩ জন, ঢাকায় ৩২, চট্টগ্রামে তিন, রাজশাহীতে তিন, খুলনায় দুই এবং ময়মনসিংহে একজন আক্রান্ত হন।