
শীতকালে বাজারে ওঠে এই সবজিটি। ছবি: সংগৃহীত
যে ৬টি কারণে নিয়মিত খাবেন বিট
আপডেট: ২৫ জানুয়ারি ২০১৯, ১১:২২
(প্রিয়.কম) কালচে লাল রঙের সবজি বিট, যা শীতকালে অহরহই দেখা যায় সুপার শপে, এমনকি স্থানীয় বাজারগুলোতেও। এই সবজিটি দিয়ে রান্না করতে পারেন না অনেকেই। আর এর স্বাদ-গন্ধটাও অনেকের পছন্দ নয়। বিট দেখতে যতই অদ্ভুত লাগুক না কেন, তা কিন্তু আপনার স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারী হতে পারে। দেখে নিন বিট নিয়মিত খাওয়ার কিছু উপকারিতা—
১) ক্যান্সারের সাথে যুদ্ধ করে
বিট বেশ কিছু উপায়ে ক্যান্সারের সাথে যুদ্ধ করে। বিটে থাকা উচ্চ পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি এজেন্ট কিছু কিছু ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। বিটের গাঢ় লাল রং আসে বেটাসায়ানিন নামের একটি রাসায়নিক থেকে, যা ক্যান্সার সৃষ্টিকারী প্রভাব থেকে কোষকে রক্ষা করতে সক্ষম। এ ছাড়া বিটে থাকা বিশেষ একধরনের ফাইবার কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। প্রতিদিন সিকি কাপ বিট খাওয়া হলে কিডনি ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে।
২) হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়
বিটের লাল রং দেখেই বোঝা যায় এতে আছে আয়রনের উৎস ফলেট। এ ছাড়া এতে বেটাইন নামের একটি রাসায়নিক থাকে। এই দুটি একসাথে রক্তে হোমোসিস্টিন অ্যামিনো এসিডিটির মাত্রা কমাতে পারে। হোমোসিস্টিনের কারণে ধমনির ক্ষতি হয় ও হৃদরোগ দেখা দেয়।
৩) চোখ ভালো রাখে
বিটের শুধু মূলটুকুই সাধারণত আমরা খাই। কিন্তু বিটের শাকও উপকারী। এতে থাকে লুটেইন নামের একটি অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা বয়সের সাথে দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়া ও ছানি পড়ার ঝুঁকি কমায়। এ ছাড়া বিটে থাকা ফাইটোকেমিক্যালও চোখ ও চোখের সাথে সংযুক্ত স্নায়ু ভালো রাখে।
৪) সহ্যশক্তি বাড়ায়
ক্রীড়াবিদদের সহনশীলতা ও বেশি সময় পরিশ্রম করার ক্ষমতা বাড়ায় বিটের জুস। বিটে থাকা নাইট্রেট এই উপকারটি করে। গবেষণায় বলা হয়, বিট ও আপেলের মিশ্রণে তৈরি জুস পান করলে বয়স্ক মানুষদের ব্যায়াম করাটা সহজ হয়।
৫) ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি কমায়
বিট নাইট্রিক এসিড তৈরি করে, যা সারা শরীরে রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়, এমনকি মস্তিষ্কেও। বয়স্ক মানুষদের মস্তিষ্কে এমআরআই করার পর দেখা যায়, উচ্চ মাত্রার নাইট্রেট আছে এমন ডায়েটে থাকলে তাদের মস্তিষ্কের ফ্রন্টাল লোবের হোয়াইট ম্যাটারে রক্ত চলাচল বাড়ে; তা ডিমেনশিয়া ও এ ধরনের বার্ধক্যজনিত রোগের ঝুঁকি কম রাখে।
৬) কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি দেয়
কোষ্ঠকাঠিন্য খুবই বিব্রতকর ও যন্ত্রণাদায়ক একটি স্বাস্থ্য সমস্যা। বিটে থাকা ফাইবার পরিপাকতন্ত্রের কাজ সহজ করে ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে কাজে আসে।
অনেকগুলো স্বাস্থ্য উপকারিতার পাশাপাশি বিটের অবশ্য কিছু ক্ষতিকর দিকও আছে। যেমন—
- বিটের শাকে বেশি পরিমাণে অক্সালেট থাকে, যা বেশি খেলে কিডনিতে পাথর হতে পারে।
- বিট রুটেও অক্সালেট থাকে, যার কারণে বাতের ব্যথা হতে পারে।
- এ ছাড়া বিটের গাঢ় রঙের কারণে আপনার মল-মূত্রের রং পালটে যেতে পারে, তবে তাতে ভয়ের কিছু নেই।
সুত্র: রিডার্স ডাইজেস্ট
প্রিয় লাইফ/আর বি/আজাদ চৌধুরী
- ট্যাগ:
- লাইফ
- খাবার
- স্বাস্থ্য
- উপকারী খাবার
- বিট রুট