
ছবি সংগৃহীত
বাংলাদেশের নিষিদ্ধ পল্লীর জীবন
আপডেট: ২১ জুন ২০১৪, ০৬:২৭
দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে কিশোরী, তরুণী ও যুবতীকে অপহরণ, ফুসলিয়ে, প্রেমের ফাঁদে ফেলে অথবা বিয়ে করে নিয়ে এসে পতিতা পল্লীতে বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে। যদি ওইসব মেয়েদের অভিভাবক খবর পেয়েও থাকে তাহলেও প্রশাসন কিংবা মোটা অংকের টাকা দিয়ে নিজ মেয়েদের ফেরত নিয়ে যেতে হচ্ছে। অথবা কেউ কেউ খবর পেলেও সমাজ, লোকলজ্জার ভয়ে আর তাদের মেয়েদের ফেরত নিতে আসেন না। এক্ষেত্রে ওইসব মেয়েদের স্হায়ী ঠিকানা হয়ে যায় নিষিদ্ধ পল্লী। কিন্তু এতসবের মাঝে কথা বলার কোন স্থানই নেই মেয়েদের। নেই তাদের কোন অধিকার। জীবনে চলার পথে ভুল হতেই পারে, কিন্তু এখানে ভুল নিয়ে যায় ধ্বংসের পথে। মানুষ হিসেবে তাদের অধকারেরতো প্রশ্নই আসে না? তবুও স্বপ্ন দেখে চলে অনেকেই। আর সে স্বপ্নের হাত ধরেই চলেছে তাদের জীবন। অনেকে সফল হয়েছে, স্থান হয়েছে মানোবধিকার সংস্থাগুলোয়। তবে অধিকাংশই রয়ে যায় নিষিদ্ধ পল্লীর বাসিন্দা হয়ে। নিষিদ্ধ পল্লীর এ বাসিন্দাদের সুস্থ- স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনা সহজ না হলেও তার থেকে সহজতর হবে যদি কিশোরী, তরুণী ও যুবতীকে অপহরণ, প্রেমের ফাঁদ এসকল বিষয়ে সচেতন করা সম্ভব হয়। এক্ষেত্রে পরিবারকে সবথেকে বড় ভূমিকা পালন করতে হবে। আর আইন শৃঙ্খলার কার্যকারিতার ক্ষেত্রে যত সম্ভব অল্প সময়ে এবং দৃঢ়টার সাথে শক্ত ভাবে এসকল বিষয়ের তদন্ত ও শাস্তির মেয়াদ কঠিনতর হতে হবে। অলৌকিক কিছুই প্রত্যাশা না রেখে, নিজে সচেতন হই আর অন্যকেও সহায়তা করি। তবেই সস্থ সমাজ গড়া সহজতর হবে।
- ট্যাগ:
- বাংলাদেশ
- বাংলাদেশের নিষিদ্ধ পল্লী