
ভালোবাসার আগুন জ্বললে আঁচ তো গায়ে আসবেই: জয়া আহসান
দেশের প্রেক্ষাগৃহে চলছে জয়া আহসান অভিনীত দুই ছবি ‘তাণ্ডব’ ও ‘উৎসব’। মাসের তৃতীয় সপ্তাহে ভারতে মুক্তি পাচ্ছে ‘ডিয়ার মা’। এখন তিনি কলকাতায় ‘আজও অর্ধাঙ্গিনী’ ছবির শুটিং করছেন। ০১ জুলাই এই অভিনয়শিল্পীর জন্মদিন। শুটিংয়ের ব্যস্ততার ফাঁকে সোমবার সন্ধ্যায় প্রথম আলোর সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
‘আজও অর্ধাঙ্গিনী’র শুটিং কত দিন পর্যন্ত চলবে? ঢাকায় ফিরবেন কবে?
জয়া আহসান : দুই সপ্তাহ ধরে ‘আজও অর্ধাঙ্গিনী’র শুটিং করছি। এখন শেষের দিকে। এই ছবির শুটিং শেষ হলেও আপাতত ঢাকায় ফেরা হচ্ছে না। কারণ, এরপর ‘ডিয়ার মা’ ছবির প্রচারণায় ব্যস্ত হতে হবে, যা এরই মধ্যে শুরুও হয়েছে।
দেশে একই সময়ে আপনার দুটি ছবি ‘তাণ্ডব’ ও ‘উৎসব’ মুক্তি পেয়েছে, তা–ও ঈদের মতো বড় উৎসবে। প্রায় কাছাকাছি সময়ে দুটি ভিন্ন ঘরানার সিনেমায় আপনি অভিনয় করেছেন। দুই চরিত্রের কাজের অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?
জয়া আহসান : দুটি ছবির গল্পের কাঠামোই তো আলাদা। তবে শুটিং কাছাকাছি সময়ে হয়েছে, ওভার লেপও করেছে। ‘তাণ্ডব’-এ তো ভালোই, অনেক দিন পর একটা বাণিজ্যিক ঘরানার সিনেমায় কাজ করলাম। দারুণ অভিজ্ঞতা ছিল। চরিত্রে ঢোকার ক্ষেত্রে একদমই সমস্যা হয়নি। ‘উৎসব’—তানিম নূর আমাকে অনুরোধ করেছিল। বলেছিল, ‘আপা, এটা করতে হবে আপনাকে।’ ওর অনুরোধে কোনো কিছু না ভেবে রাজি হওয়া। যেহেতু এত দিন পর ছবি করছে, অনেকেই থাকবে, আমিও কোনো একভাবে থাকব। আমার প্রথম সিনেমা ‘ফিরে এসো বেহুলা’র পরিচালক কিন্তু তানিম। ও যখন দ্বিতীয় ছবি করছে, সেটাই আমাদের সবার জন্য খুশির খবর ছিল। সবাই সবার মতো করে সাপোর্ট করেছিল। কারণ, সে পরীক্ষিত পরিচালক, ভালো কাজ করে। আমার মনে হয় যে এত দিন পর এত ভালো একটা গল্প, ক্রিসমাস ক্যারলের এই গল্পটা কমবেশি সবাই জানি। যেহেতু সেই গল্পটার অ্যাপ্রোচে বানাচ্ছে, আমিও হ্যাঁ বলেছি। তবে ‘উৎসব’ এতটা ভালো করবে, কেউ ভাবতে পারিনি। ভেবেছি ভালো হবে; কিন্তু দর্শক এটাকে যেভাবে গ্রহণ করেছে, প্রমাণ করে দিয়েছে, দর্শকের ওপর আমাদের ভরসা হারানো ঠিক না।
দীর্ঘ সময় আপনি সিঙ্গেল। একা থাকাকে আপনি কীভাবে দেখেন—এটা কি একধরনের স্বাধীনতা, নাকি কখনো একাকিত্ববোধও হয়?
জয়া আহসান : একা আছি এটা আপনিও বলতে পারেন না, দর্শকও বলতে পারে না, (হাসি) একা আছি কি না এটা একমাত্র আমিই বলতে পারব।
তাহলে একা আছেন কি না, তা কি বলা যাবে?
জয়া আহসান : এটার উত্তর আমি দেব না, একা আছি কি নেই। কিন্তু দর্শক জয়া আহসানের যে ইমেজটা দেখে, তাতে তো ভালো লাগে। কারণ, এ ইমেজটাই তো আমি তৈরি করতে চেয়েছিলাম। সেটাই আছে। আমি আমার ব্যক্তিগত জায়গায় অনুপ্রবেশ করতে দিতে চাই না আসলে। ব্যক্তিগত তো আসলে ব্যক্তিগত। ওটা আমার কাজের জীবনে কোনো উপকারে আসবে না। তাহলে কেন আমি তা খামোখা প্রকাশ করব? আমি শুধু কাজ দিয়ে দর্শকের খুব আগ্রহের জায়গায় রয়েছি। কাজ দিয়ে যারা আগ্রহের জায়গা নেই, কাজ নিয়ে যারা ইনসিকিউরড তারাই নিজেদের ব্যক্তিগত জীবন, সংগ্রাম বিক্রি করে—সেগুলো আমার পছন্দ নয়। আমরা সেটা করার প্রয়োজন হয়নি।
ভালোবাসা প্রকাশের সুযোগ না পেলে সেই অনুভূতির ওজন আরও বাড়ে—আপনার জীবনে এমন কোনো অনুভবের স্মৃতি আছে?
জয়া আহসান : দারুণ একটা বিষয় বললেন তো, তবে আমার সেটা হয়নি। আমাকে নিয়ে দর্শক বা মানুষজনের আছে—তা আমি টের পাই। আমার এমনটা হয়নি যে কাউকে ভালোবাসার কথা বলতে পারিনি। কিন্তু আমাকে নিয়ে যে আছে, তা আমি টের পাই। আমার চারপাশে যেমন আছে, তেমনি অনুরাগীদের মধ্যেও এমনটা টের পেয়েছি। কারণ, ভালোবাসার আগুন জ্বললে সেই তাপ বা আঁচটা তো আমার গায়ে আসবেই।