ছবি সংগৃহীত

জামায়াত-শিবিরে নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে বিএনপি!

মেহেবুব আলম বর্ণ
লেখক
প্রকাশিত: ১৭ জানুয়ারি ২০১৪, ১৭:১০
আপডেট: ১৭ জানুয়ারি ২০১৪, ১৭:১০

শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের অধীনে হয়ে গেছে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন। সরকার গঠনের কাজও শেষ। দেশের অন্যতম বড় দল বিএনপি এতে অংশ নেয়নি। গত আড়াই বছর ধরে বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আন্দোলন করেছে। কিন্তু দলীয় সরকারের অধীনের নির্বাচন আর ঠেকানো যায়নি। এই আন্দোলনে বিএনপির কি প্রাপ্তি ঘটলো? সফলতা,ব্যর্থতা কতটা? এ প্রশ্নে বিএনপির জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতাদের ভাবনাগুলো নিয়ে মেহেবুব আলম বর্ণ`র তিন কিস্তির প্রতিবেদন। আজ পড়ুন শেষ কিস্তি: বিএনপির জেলা পর্যায়ের বেশিরভাগ শীর্ষ নেতারই দাবি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আন্দোলন তাঁরা জোরদার করতে সক্ষম হয়েছিলেন। কিন্তু কেন্দ্রীয় নেতারা জেলার মতো সে দক্ষতা দেখাতে পারেননি। অথচ জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের সাধারণ কর্মীদের মধ্যেও তাঁদের নেতাদের নিয়েও নানান অভিযোগ, অভিমান রয়েছে। মাঠ পর্যায়ের কর্মীদের মতে জেলার নেতাদের মধ্যেও কমিটি,নেতৃত্ব,কর্মসূচি পালনের দায়িত্ব, অর্থব্যয়, কাজের প্রচার, সহযোগী সংগঠনের সঙ্গে সম্পর্ক, কর্মীদের চিকিৎসা ও মামলায় সহায়তা নিয়ে চরম দ্বন্দ্ব ও অসন্তোষ রয়েছে। কমপক্ষে ১২টি জেলার ২৫ জন সাধারণ কর্মী এমন অভিযোগ করে বলেছেন, এবারের আন্দোলনে জেলা, উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়নে ১৮ দলের শরিক জামায়াত-শিবির যতটা সক্রিয় ছিলো বিএনপি ততটা ছিল না। বিএনপির নেতারা জামায়াত–শিবির কি করে সেদিকেই তাকিয়ে ছিলেন বলেই তাঁদের অভিমত।

তত্ত্বাবধায়ক সরকার নাকি যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষা

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আন্দোলন নাকি জামায়াতের যুদ্ধাপরাধী নেতাদের রক্ষার জন্য আন্দোলন? বিএনপির নেতা কর্মীদের বারবার এই প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়েছে। রাজশাহী ও মেহেরপুর এলাকায় কয়েকজন ছাত্র ও যুবদল নেতা নামপ্রকাশ না করার শর্তে বলেন, মানবতাবিরোধী অপরাধের প্রতিটি রায়ের পর জামায়াত-শিবির বড় ধরনের নাশকতা চালিয়েছে। আর এর দায় এবং এজন্য মামলাও খেতে হয়েছে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের। মানবতা বিরোধী অপরাধের রায়কে কেন্দ্র করে জামায়াত-শিবিরের ডাকা হরতালে বিএনপি সমর্থন দেয়নি। সেসব দিনে বিএনপি চুপ ছিল। জামায়াতের কর্মসূচির দিনে বিএনপির নেতা-কর্মীদের পাশে না পাওয়ায় এ ব্যাপারে নাখোশ হয়েছে শরিক দলের নেতা-কর্মীরা। ফলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে বিএনপির ডাকা কর্মসূচিতেও শিবির কর্মীরা সেভাবে মাঠে নামেনি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সহযোগী সংগঠনের মাঠ পর্যায়ের কয়েকজন সক্রিয় কর্মী। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার বিএনপির এক নেতা এ প্রসঙ্গে বলেন, আন্দোলনে ১৮ দলীয় জোটের প্রধান দুটি শরিক দল বিএনপি ও জামায়াতের মূল লক্ষ্যের মধ্যে বড় ব্যবধান আছে। জামায়াত নেতাদের যখন ফাঁসির রায় হচ্ছে, তা কার্যকরও হয়ে যাচ্ছে তখন তারা নেতাদের বাঁচানোর জন্য লাগাতার কঠোর ও জঙ্গি কর্মসূচি চায়। আর একই সময় দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন চলে আসায় বিএনপি চেয়েছে শান্তিপূর্ণভাবে অন্দোলনে জনগনের অংশগ্রহণ বাড়াতে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার বিএনপির এই নেতার মতে পরস্পর বিরোধী এই রাজনৈতিক কর্মসূচি দু’টি দলকে একসঙ্গে রাজপথে আনতে পারেনি। অথচ জামায়াতের সকল সহিংসতার দায়ভার বিএনপিকেও বহন করতে হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। রাজশাহী কলেজের ৮০ দশকের জিএস সাবেক ছাত্রদল নেতা বাচ্চু সরকারের মতে, চলমান আন্দোলনে বিএনপির প্রধান ভুলটিই হলো যুদ্ধাপরাধীদের ব্যাপারে সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগা। শরিক দলের প্রতি অতি নির্ভরশীলতাকেও দায়ী করেছেন তৃণমূলের বিএনপির নেতারা।

বিএনপি-জামায়াত সম্পর্ক

বিএনপির সঙ্গে জামায়াতের রাজনৈতিক সম্পর্ককে বিএনপির জেলা-উপজেলার বেশিরভাগ নেতা ইতিবাচক দৃষ্টিতেই দেখেন। তাঁরা মনে করেন বিএনপির সঙ্গে জামায়াতের সম্পর্কটি মূলত নির্বাচনী ঐক্য। বিএনপি জামায়াতের সঙ্গ ছাড়লে ভোটের হিসেবেই শুধু দল ক্ষতির মুখে পড়বে না। আওয়ামী লীগ এ সুযোগ কাজে লাগাবে এমনটি জামায়াতের সঙ্গে সমঝোতার সম্পর্কও গড়ে তুলবে।
ময়মনসিংহ জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক আব্দুল ওয়াহাব আকন্দ বলেছেন, ‘জামায়াতের সঙ্গে বিএনপিরকে চলছে হচ্ছে কৌশলগত কারণে। জামায়াতকে বিএনপি ছেড়ে দিলে আওয়ামী লীগ যে তাদের সঙ্গে নিবে না তার গ্যারান্টি কে দেবে? আওয়ামী লীগ জামায়াতকে ছেড়ে দেবার কথা বলে কিন্তু তারা তো তাদের রাজনীতি নিষিদ্ধ করে না।’ সিলেট মহানগরের স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি ফরহাদ চৌধুরী শামিমও আওয়ামী লীগের বিষয়ে একই সন্দেহ পোষণ করে বলেন, ‘জামায়াতের সবাই তো মানবতাবিরোধী অপরাধী নয়। এমন কথা বলে তো কুষ্টিয়ার এক জামায়াতের রুকনকে দলে নিয়েছে আওয়ামী লীগ।’ চাঁপাইনবাবগঞ্জের বিএনপি সভাপতি অধ্যাপক শাহজাহান একজন মুক্তিযোদ্ধা। তিনি ক্যাপ্টেন শাহজাহান নামে বেশি পরিচিত। তিনি অভিযোগ করেন, ‘দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকেই চাঁপাইয়ে জামায়াতের বৃদ্ধির জন্য আওয়ামী লীগই দায়ী।’ গত মহাজোট সরকারের সময়েও আওয়ামী লীগ জেলাটিতে জামায়াতের সঙ্গে তলে তলে সম্পর্ক বজায় রেখেছে বলেও আভিযোগ করেন তিনি। ২০০৮ সালে অনুষ্ঠিত নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শিবগঞ্জ উপজেলা থেকে নির্বাচিত সাংসদ সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী এনামুল হক জামায়াতের ভোটেই নির্বাচিত হন বলে জানান ক্যাপ্টেন শাহজাহান। তিনি বলেন, মহাজোট সরকারের আমলে সাবেক এই বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীর আশে পাশে যাঁরা ছিলেন তাঁরা জামায়াতেরই লোক। এদিকে ১৮ দলের চলমান আন্দোলনে চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিএনপি ও জামায়াত আলাদা আলাদা জায়গায় সমাবেশ ও মিছিল করেছে বলেও দাবি করেন তিনি। জেলাটিতে রাজনৈতিক সহিংসতা বৃদ্ধির কারণ হিসেবে তিনি জানান, আওয়ামী লীগের কিছু নেতা প্রশাসনকে দিয়ে গ্রামে গ্রামে ইসলামী তাফসির মাহফিল ও মিলাদ অনুষ্ঠান করতে না দেওয়ায় শেখ হাসিনার সরকার নাস্তিকদের সরকার হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। মহাজোট সরকারের শেষ দিকে শিবগঞ্জের আলীডাঙ্গা মন্দির ভাংচুরের জন্যও তিনি আওয়ামী লীগকে দায়ী করে বলেন, বিএনপিকে বিপদে ফেলতে, নেতা কর্মীদের মামলায় জড়ানোর জন্যই আওয়ামী লীগ হিন্দু নেতাদের সঙ্গে নিয়ে এই অপরাজনীতি করে। ১৮ দলের চলমান আন্দোলনে রাজশাহীতে কয়েকটি বড় সহিংসতার ঘটনার কারণে দেশের অন্যান্য এলাকায় জেলাটি জামায়াতের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। রাজশাহী আসলে কার ঘাঁটি বিএনপির নাকি জামায়াতের? এমন প্রশ্নে সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিনুর স্ত্রী সালামা শাহদাত বলেন, ‘রাজশাহী বিএনপির এলাকা।’ তাহলে কি উভয় দল মিলে সহিংসতার ঘটনাগুলো ঘটিয়েছে? এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, রাজশাহীতে বিএনপি কোন ধরণের সহিংসতার ঘটনার সঙ্গে ছিলো না। এমনকি রাজশাহীতে সবসময় জামায়াতের সঙ্গে বিএনপির নির্বাচনী ঐক্যও গড়ে উঠেনি। ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজশাহীতে দল দুটি পৃথকভাবে নির্বাচন করেছে বলেও দৃষ্টান্ত দেন তিনি। তবে ২০০১ সালে একসঙ্গে নির্বাচন করেছে বিএনপি জামায়াত। সালমা শাহদাতের অভিযোগ, রাজশাহীতে যারা সহিংসতা চালিয়েছে তাদেরকে আওয়ামী লীগ ও ওয়ার্কার্স পার্টির নেতারা চেনেন। প্রশাসনও তাদেরকে চেনে। কিন্তু প্রকৃত দোষীদের না ধরে এখানে বিএনপির নেতা ও কর্মীদের হয়রানি, গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পিরোজপুর জেলা বিএনপির সভাপতি বাবুল গাজী একজন মুক্তিযোদ্ধা। তিনি জানান, ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধের শেষ সপ্তাহে এক অপারেশনে তিনি তাঁর তিনজন সহযোদ্ধাকে শহীদ হতে দেখেছেন। মুক্তিযোদ্ধা বাবুল গাজী আরো বলেন, ‘১৮ দলের সমাবেশে যুদ্ধাপরাধীদের ছবি দেখলে সহ্য হয় না। বিএনপি এই ইস্যুটি প্যাচাইয়া ফেলছে।’ এদিকে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে আওয়ামলীগও সুবিধাবাদের রাজনীতি করছে বলে অভিযোগ তোলেন। একই সঙ্গে বলেন, ভোটের রাজনীতির স্বার্থে জামায়াতকে সঙ্গে রাখার দরকার আছে।

মিডিয়ায় মুখ দেখানোর রাজনীতি

রাজপথের আন্দোলন জোরদার করার চেয়ে মিডিয়ায় মুখ দেখাতে ব্যস্ত ছিলেন নেতারা। জেলা উপজেলার নেতাদের অনেকেই এমন উক্তি করেছেন। কুষ্টিয়া ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সাবেক ছাত্রনেতা শামিম আরজু বললেন, ‘এবার শো পলিটিক্স বেশি হয়েছে। থানা পুলিশ ম্যানেজ করে টিভির ক্যামেরা ডেকে ১০/১৫ মিনিটের একটি মিছিল শেষে ব্যানার গুটিয়ে নেতারা বাড়ি চলে গেছেন। সরাদিন সেই ছবি টিভিতে দেখা গেছে। এতেই কেন্দ্রীয় নেতারা খুশি থেকেছেন। মেহেরপুর জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনসারুল হকও এমন আভিযোগ করে বলেন, কেন্দ্রীয় নেতা সাবেক এমপি মাসুদ অরুন মিছিল শুরু হওয়ার পর তাতে যোগ দিতেন। সঙ্গে আনতেন টিভির ক্যামেরা। যাঁরা মিছিলের আয়োজন করত তাঁদের মুখ টিভিতে আসেনি।

ফেরারীদের ভীষণ ক্ষোভ

ফরিদপুর জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারন সম্পাদক জুলফিকার হোসাইন জুয়েল। চলমান আন্দোলনে তিনি ১৭ টি মামলার আসামী। বর্তমানে ফেরারী জীবন তাঁর। তিনি বলেছেন, জেলার সিনিয়র নেতাদের ভূমিকা রহস্যজনক। মাঠ পর্যায়ের কর্মীরা দলের ভালো অবস্থান ধরে রাখার চেষ্টা চালিয়ে গেলেও নেতাদেরকে বিপদের সময় কাছে পাওয়া যায় না। আটক ও গ্রেপ্তার হলে দ্রুত আইনী সহায়তা পাওয়া যায় না। আহত তৃণমূল নেতাদের দুই একদিন পর আর খোঁজ নেয়না কেউ। ময়মনসিংহের গোঁফরগাঁও উপজেলার স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক আজিম উদ্দিন ১১ টি মামলার আসামী। তিনি ফেরারী জীবন থেকে জানান, ‘নিজে গা ঢেকে রক্ষা পেয়েছি কিছুটা। কিন্তু প্রতিদিন বাড়ির উপর চলছে পুলিশি অত্যাচার। পুলিশ বাণিজ্য শুরু করেছে। এদিকে উপজেলা আর জেলার বিএনপি নেতারা এখন কিছু বললেই নিজেদের সমস্যার গল্প শোনায়। নিজেদের মামলা নিজেদেরই চালাতে হচ্ছে। আহত হলে চিকিৎসাও নিজের টাকায় করাতে হয়।

এক নেতা এক পদ

২০০৩ সালের ৪ জানুয়ারি থেকে টানা ৩ মাস দেশে ইউনিয়ন প্রতিনিধি সভা করেন বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান। যা দলটির দলের তৃণমূল পর্যায়ের নেতাদের মধ্যে আলোড়ন ও উদ্দীপনা তৈরি করে। ঠাকুরগাঁও জেলায় প্রথম ইউনিয়ন প্রতিনিধি সভায় তারেক রহমান বলেছিলেন, ‘ইউনিয়ন প্রতিনিধিরাই দেশের চালিকা শক্তি। স্তম্ভ ঠিক থাকলে ঝড় তুফান কোন ক্ষতি করতে পারবে না।’ তিনি দলকে সংগঠিত করার জন্য এক নেতা এক পদের প্রতিও তখন গুরুত্ব দেন। কিন্তু বিএনপিতে এখনো তৃণমূল নেতাদের অন্যতম অভিযোগ এক একজন নেতা একাধিক বড় পদ দখল করে আছেন। ফলে দলের নেতৃত্ব গতিশীল ও বিকশিত হতে পারছে না। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মীর্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর একাধারে কৃষক দলের সভাপতি ও ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির সভাপতি। বিএনপির কেন্দ্রীয় অনেক নেতাই একইসঙ্গে কেন্দ্রীয় সহযোগী সংগঠন ও জেলা-উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ পদ ধরে আছেন। জেলা পর্যায়েও রয়েছে এক নেতার একাধিক পদ। ফলে তৃণমূলের নানান ঘটনায় সেখানকার কমিটিকে তাকিয়ে থাকতে হয় কেন্দ্রীয় নেতার সিদ্ধান্ত জানতে। দলে এতে নেতৃত্বের সমন্বয় দিন দিন প্রকট আকার ধারণ করছে বলেই তৃণমূল নেতাদের অভিমত। তাই তাঁরা চান দলকে গতিশীল করতে এক নেতা এক পদ নীতিকেই গ্রহণ করতে হবে। নিজেদের দল তৃণমূল থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত গড়ে না তুলে শরিক দলের উপর বেশি নির্ভরশীল হয়ে পড়লে বিএনপির লাভের পরিমান কমতেই থাকবে বলে মত মাঠের নেতা-কর্মীদের। >> দ্বিতীয় কিস্তি: বিএনপির ঢাকার নেতারা ব্যর্থ, মাঠের কর্মীরা ক্ষুব্ধ >> প্রথম কিস্তি: বিএনপির আন্দোলনে প্রমাণ হয়েছে ‘ভোট চোর’ আওয়ামী লীগ