গরমে বগলে র্যাশ: কেন হয় ও কী করবেন?
আপডেট: ৩১ মে ২০১৫, ০৯:৫৯
(প্রিয়.কম) গরমে শরীরের নানান স্থানে র্যাশ ওঠার সমস্যা অতি সাধারণ। একদিক থেকে ব্যাপারটি যেমন যন্ত্রণাদায়ক, ঠিক তেমনি কষ্টদায়কও বটে। আসুন জেনে নেওয়া যাক বগলে র্যাশ ওঠার কারণ কী হতে পারে আর এ থেকে মুক্তি পেতেই বা কী করবেন আপনি। বগলে র্যাশ উঠার কারণ গুলো হচ্ছে- ১। আঁটসাঁট পোশাক পরা অতিরিক্ত আঁটসাঁট পোশাক পরার কারণে বগলে ইনফেকশনের সৃষ্টি হতে পারে। আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে আপনার ত্বকে সেনসিটিভ কিনা কিংবা এলার্জির সমস্যা আছে কিনা। যেমন, অনেকের সিনথেটিক পোশাকে এলার্জি থাকে। যা বগলে র্যাশের সৃষ্টি করে। ২। আন্ডারআর্ম বা বগল শেভ করা অনেকে বগল নিয়মিত শেভ করে থাকেন। কিন্তু আমাদের বগলের ত্বক অত্যাধিক নরম ও সেনসিটিভ হয়ে থাকে। শেভিং করা আপনার বগলের র্যাশের কারণ হতে পারে। এক্ষেত্রে নিরাপদ উপায় ওয়াক্সিং বেছে নিন। ৩। ডিউডোরেনট, সাবান, পাউডার ইত্যাদি সবসময় ভালো কসমেটিকস পণ্য ব্যবহারের চেষ্টা করবেন। কেননা অনেক সময় ভুল পণ্য আপনার ত্বকে ফাঙ্গাস এর সৃষ্টি করে যা থেকে র্যাশ উঠতে পারে। ৪। অন্যান্য কারণ অনেক সময় যাদের এলার্জি সমস্যা রয়েছে তারা ডিম, বেগুন, চিংড়ি ইত্যাদি খেলে র্যাশ ওঠে। আবার র্যাশ উঠার জন্য বিভিন্ন ভাইরাস যেমন ফ্লু, চিকেন পক্স ইত্যাদি ও দায়ী। এগুলোর কারণে র্যাশ উঠলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ডাক্তারের পরামর্শ নিন। জানলেন তো কি কারণে বগলে র্যাশের সৃষ্টি হয়। সুতরাং এই ব্যাপারগুলোর দিকে আমাদের সবার ই নজর রাখা উচিৎ। কিন্তু তারপরও যদি বগলে র্যাশ উঠেই যায় তবে কী করবেন? আসুন জেনে নেয়া যাক। ১। সামান্য কিছু পরিবর্তন বগলে র্যাশ উঠলে ঢিলেঢালা পোশাক পরুন। কোমল, এবং ভালোমানের সাবান ব্যবহার করুন। বগল যত বেশি সম্ভব শুকনো রাখতে চেষ্টা করুন। বেশি করে পানি ও গ্রীন টি পান করুন যা আপনার শরীরের পক্ষে ভালো। সফট ড্রিঙ্কস, এনার্জি ড্রিঙ্কস, কফি এগুলো পান করা থেকে বিরত থাকুন কারণ এই খাবাড়গুলো শরীর থেকে পানির পরিমাণ কমিয়ে দেয়। অ্যান্টি ফাংগাল ক্রিম বা লোশন ব্যবহার করুন। ২। গরম সেঁক দিন বগলে র্যাশ উঠলে প্রচন্ড ব্যথা হয়। নরম সুতি কাপড় হালকা গরম করে বগলে সেঁক দিন। আরাম পাবেন। মনে রাখবেন, গরমের মাত্রা যেন অবশ্যই সহনশীল হয়। ৩। ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে ভালোমানের লোশন বা ক্রিম র্যাশ ওঠা স্থানে ভালো ক্রিম বা লোশন হালকা করে ম্যাসেজ করতে পারেন যাতে ব্যথা কিছুটা কমে। ক্যালামাইন লোশন এক্ষেত্রে বেশ ভালো উপকার দিতে পারে। ৪। ওটমিল দিয়ে গোসল এক কাপ ওটমিল নিয়ে একটি সুতি কাপড়ে বেঁধে নিন। এবার পানিতে পুঁটুলিটা ভালো করে সেদ্ধ করে নিন। ঠান্ডা করুন। গোসলের সময় স্পঞ্জের বদলে এই পুটলিটি ব্যবহার করুন। ৫। চুলকানো থেকে বিরত থাকুন আক্রান্ত স্থান ভুলেও চুলকাবেন না। এতে কষ্ট বাড়বে। ৬। ডাক্তারের পরামর্শ নিন প্রাথমিক চিকিৎসার পর ও যদি কোন উন্নতি না ঘটে তবে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। তথ্যসুত্র ও ছবি -wikihow