যৌতুকের দাবিতে নির্যাতনের শিকার হলে কী আইনি ব্যবস্থা নেবেন

ডেইলি স্টার প্রকাশিত: ২২ জুন ২০২৫, ২০:২৩

যৌতুক সমাজের অভিশাপ। দেশ উন্নয়নের পথে হাঁটলেও পুরোপুরি বন্ধ হয়নি যৌতুক প্রথা। আর যৌতুকের দাবিতে সারাদেশে বহু নারী নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন প্রতিনিয়ত।


যৌতুকের দাবিতে নির্যাতনের শিকার হলে করণীয় ও যৌতুক অপরাধের সাজা সম্পর্কে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের আইনজীবী ইশরাত হাসান।


যৌতুকের জন্য নির্যাতন


আইনজীবী ইশরাত হাসান বলেন, সাধারণত ভুক্তভোগী নারী তার স্বামীর মাধ্যমে এই অপরাধের শিকার হন। অনেক সময় শ্বশুর, শাশুড়ি, ননদ, দেবরের মতো শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের মাধ্যমেও নির্যাতনের শিকার হন। যদি কোনো নারী তার স্বামী কিংবা শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের দ্বারা যৌতুকের জন্য শারীরিক নির্যাতনের শিকার হন, তবে এই নির্যাতন সংক্রান্ত অভিযোগ আনা যায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ এর অধীনে।


যৌতুকের জন্য ভুক্তভোগী নারীরা সাধারণত শারীরিক, মানসিক, আর্থিক এবং সামাজিকভাবে নির্যাতিত হন। যেমন- মেরে ফেলা, আগুনে পোড়ানো, অপমান ও মানসিক নির্যাতন, বাবা-মায়ের বাড়ি থেকে অর্থ বা সম্পদ আনার চাপ, বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া বা তালাবদ্ধ করে রাখা ইত্যাদি। এসব অপরাধের বিচার হয় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ এর অধীনে।


যৌতুক অপরাধের বিচারে যৌতুক নিরোধ আইন


আইনজীবী ইশরাত হাসান বলেন, যৌতুক নেওয়া বা দাবি করা সম্পূর্ণ বেআইনি ও শাস্তিযোগ্য। যৌতুক নিরোধ আইন, ২০১৮ অনুযায়ী যৌতুক চাওয়া, যৌতুক নেওয়া বা দেওয়া একটি ফৌজদারি অপরাধ। এই আইন অনুযায়ী, যৌতুক দেওয়া-নেওয়া বা চাওয়ার অপরাধে দোষী হলে দায়ী ব্যক্তির ৫ (পাঁচ) বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ড হতে পারে।


নারী ও পুরুষ উভয়েই এই আইনে বিচার চেয়ে আদালতের শরণাপন্ন হতে পারবেন। স্বামী-স্ত্রী অথবা শ্বশুরবাড়ির যে কেউ যৌতুক দাবি করলে তারা আইনের চোখে অপরাধী।


সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও