
অস্ট্রেলিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যবহৃত হচ্ছে বাংলাদেশি তরুণের তৈরি অ্যাপ
কদিন ধরেই ছবিটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘুরপাক খাচ্ছে। বাংলাদেশের পতাকা হাতে দাঁড়িয়ে এক তরুণ। নাম অর্ণব বড়ুয়া। ক্যাপশন বলছে, অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে নিজের বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য একটি অ্যাপ তৈরি করেছেন তিনি। বিস্তারিত জানতে আমরা অর্ণবের সঙ্গে যোগাযোগ করি।
নিজের তৈরি অ্যাপের প্রেজেন্টেশন শেষে বাড়ি ফিরছিলেন অর্ণব। জানা গেল, জন্ম চট্টগ্রামে হলেও ঢাকায় বড় হয়েছেন অর্ণব বড়ুয়া। এখন ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটির সিডনি ক্যাম্পাসে স্নাতক করছেন। বিষয়—তথ্যপ্রযুক্তি। ‘অ্যাভোকাডো’ নামের একটি উদ্যোগের আওতায় ৫০টির বেশি ওয়েবসাইট ও টুল তৈরি করেছেন এই তরুণ সফটওয়্যার নির্মাতা।
‘আমি কিন্তু ঢাকার নটর ডেম কলেজে কমার্স নিয়ে এইচএসসি পাস করেছি,’ বলে হেসে ফেললেন অর্ণব। সত্যিই তো, ব্যবসায় শিক্ষার ছাত্র কীভাবে তথ্যপ্রযুক্তির লোক হয়ে উঠলেন? অর্ণব বলেন, ‘প্রযুক্তির প্রতি ভালোবাসা এতটাই গভীর ছিল যে নিজেই প্রোগ্রামিং আর ওয়েব ডেভেলপমেন্ট শিখে ফেলেছি।’
অ্যাভোকাডোর নতুন যে অ্যাপটি বর্তমানে আলোচনায় আছে, তার নাম ‘এসআরজি (স্টুডেন্ট রিপ্রেজেনটেটিভ গ্রুপ) রোস্টারিং অ্যাপ’। এটি একটি স্বয়ংক্রিয় শিফট ম্যানেজমেন্ট টুল, যা বর্তমানে ভিক্টোরিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সিডনি ক্যাম্পাসে ব্যবহৃত হচ্ছে।
‘প্রথমে ভাবিইনি এটা এমন কিছু হবে,’ বলছিলেন অর্ণব। ‘শুধু ভেবেছিলাম, মাইক্রোসফট এক্সেলের বিকল্প হিসেবে এমন কিছু থাকলে ভালো হতো—যেখানে শিফট (পালা) বণ্টন, অনুমোদন, পিডিএফ এক্সপোর্ট—সবকিছু এক ক্লিকে সম্ভব হবে। ব্যবহারকারীদের ৮০ শতাংশ কাজ কমিয়ে দিয়েছে আমার অ্যাপ। এক্সেলের মতো দেখতে হলেও এর পেছনে রয়েছে লজিক আর ব্যাকএন্ড অ্যালগরিদম। ভবিষ্যতে এমন ফিচার আনতে চেষ্টা করছি, যেখানে প্রম্পট বারে লিখলেই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সব বিশ্লেষণ করে দেবে—কোনো কোডিং বা কোর্স করার দরকার হবে না।’ অর্ণব এই অ্যাপটিকে এমনভাবে গড়ে তুলতে চান, যেন এটি শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ে নয়, ছোটখাটো ব্যবসা, হাসপাতাল বা অলাভজনক সংস্থাতেও ব্যবহার করা সম্ভব হয়।
- ট্যাগ:
- লাইফ
- মোবাইল অ্যাপ