
ছবি সংগৃহীত
কাশির সমস্যায় কী করবেন ও কখন যাবেন ডাক্তারের কাছে?
আপডেট: ১৯ ডিসেম্বর ২০১৪, ০৮:০৩
(দৈনিক যুগান্তর) বারবার কাশি হচ্ছে, রাতে বেশি কাশি, কাশতে কাশতে কখনও বমি হয়ে যাচ্ছে, কখনও বা কাশির সঙ্গে গা-হাত-পায়ে ব্যথা। এমনটা মাঝে মাঝেই হয়। সাত-আট দিন ধরে কাশি হলে চিন্তা হয় বৈকি। ডাক্তারের কাছে গেলে তিনি রক্ত-পরীক্ষা, বুকের এক্স-রে করান, কখনও কফের পরীক্ষাও করান। ওষুধ হিসেবে বড়ি বা ক্যাপসুলের সঙ্গে থাকে এক শিশি কাশির সিরাপ। কাশির সিরাপ কি দরকারীঅনেকেই কাশি দ্রুত সারিয়ে তোলার জন্য অ্যান্টিবায়োটিকস দেয়ার জন্য চিকিৎসকদের ওপর চাপ সৃষ্টি করেন। এ পরিস্থিতিতে অ্যান্টিবায়োটিকসের মতো ওষুধ খাওয়ার সাধারণত প্রয়োজন পড়ে না। প্রতি তিনজন রোগীর মধ্যে দুজনই কাশির সমস্যা নিয়ে ডাক্তারের কাছে যান। এ কাশির রোগীর অর্ধেককেই শেষ পর্যন্ত অ্যান্টিবায়োটিকস দেয়া হয়। প্রচণ্ড কাশি সারতে গড়ে ১৮ দিন সময় লাগে।কাশি নিয়ে সাধারণ মানুষ যা ভাবেন তার সঙ্গে বাস্তবতার কোনো সম্পর্ক নেই। কারও যদি ব্রংকাইটিস হয় এবং চার-পাঁচ দিনের মধ্যে তা যদি ভালো না হয় তখন তারা ভাবেন ডাক্তার দেখিয়ে অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ার সময় এসে গেছে। চার-পাঁচ দিন ওষুধ খাওয়ার পরও যখন প্রথম দফা অ্যান্টিবায়োটিক কাজ না করে তখন তারা আবার ডাক্তারের কাছে ফিরে আসেন।
এবার জেনে নিন কাশি হলে কী করবেন-
-প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন, এতে কফ পাতলা হবে, কফ বের করার চলন্ত সিঁড়ি ভালোভাবে কাজ করতে পারবে।- -গরম পানির ভাপ নিন। ভাপ শ্বাসনালিতে গিয়ে পানিতে পরিণত হবে।
- -শুকনো কাশিতে গলা খুসখুস করলে হালকা গরম পানিতে একটু লবণ দিয়ে কুলকুচি করুন। মুখে যে কোনো লজেন্স, লবঙ্গ বা আদা রাখলেও আরাম পাওয়া যাবে।
কখন ডাক্তারের কাছে যেতে হবে?
- -কাশির সঙ্গে হাঁপানি বা শ্বাসকষ্ট হলে।
- -কফের সঙ্গে রক্ত পড়লে।
- -কাশতে কাশতে শরীর নীল হয়ে গেলে।
- -কথা বলতে কষ্ট হলে।
- -দুধের বাচ্চা দুধ টেনে খেতে না পারলে।
- -আমাদের দেশে অনেক যক্ষ্মা রোগী আছেন তাই কোনো রোগীর কাশি দুই সপ্তাহের বেশি হলে, কফ পরীক্ষা করে দেখা উচিত।