মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়ার জন্ম ১৯৫৭ সালের ১ জুলাই। গ্রামের বাড়ি নরসিংদী সদরের বালুসাইর গ্রামে। তিনি পড়াশোনা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগে। তিনি বিসিএসের মাধ্যমে ১৯৮১ সালের ৩০ জানুয়ারি অডিট অ্যান্ড অ্যাকাউন্টস বিভাগে সহকারী কন্ট্রোলার মিলিটারি অ্যাকাউন্টস পদে যোগদান করে কর্মজীবন শুরু করেন। ২০১০ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের (তৎকালীন যোগাযোগ মন্ত্রণালয়) সেতু বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব হিসেবে নিয়োগ পান। পরে একই বছরের ২৯ জুলাই তাকে সচিব পদে পদোন্নতি পান। দায়িত্ব পালনকালে পদ্মাসেতুর পরামর্শকের কাজ পাইয়ে দিতে কানাডীয় প্রতিষ্ঠান এসএনসি লাভালিনকে ঘুষ লেনদেনের ষড়যন্ত্রের অভিযোগে ২০১২ সালের ১৭ ডিসেম্বর বনানী থানায় মোশাররফ হোসেনসহ সাতজনকে আসামি করে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলার পর তাকে বসানো হয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যানের পদে। এরপর বিশ্বব্যাংকের শর্ত মেনে মোশাররফ হোসেনকে ছুটিতেও পাঠানো হয়েছিল। ছুটিতে থাকা অবস্থায় অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যানের পদ থেকেও তাকে অপসারণ করা হয়। এ সময় তাকে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়। গ্রেফতার হওয়ায় ২০১৩ সালের ১৬ জানুয়ারি সাময়িক বরখাস্ত হন তিনি। ওই বছরের ২৬ ডিসেম্বর হাইকোর্ট থেকে বের হওয়ার পর গণপূর্ত ভবনের সামনে থেকে মোশাররফকে গ্রেফতার করা হয়। ২০১৩ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি জামিন পান মোশাররফ হোসেন। পরবর্তীতে দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে আবারও চাকরিতে ফিরিয়ে নেওয়া হয়। মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া ২০১৪ সালের ২৬ অক্টোবর শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব পদে যোগ দেন। ২০১৬ সালের ১১ এপ্রিল সিনিয়র সচিব হন তিনি। গত বছরের ৩০ জুন মোশাররফের অবসরোত্তর ছুটিতে (পিআরএল) যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পিআরএল বাতিল করে সরকার তাকে এক বছরের জন্য চুক্তিতে শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নিয়োগ দেয়। ২০১৮ সালের ৩ জানুয়ারি তিনি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পান। এছাড়া তিনি বিমান বাংলাদেশে এয়ারলাইন্সের পরিচালক। পরে তিনি জার্মানিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ পান।