কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

চাপে থাকবে এনবিআর

বাংলা ট্রিবিউন প্রকাশিত: ১১ জুন ২০২০, ২১:৫১

২০২০-২১ অর্থবছরের ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট জাতীয় সংসদে পেশ করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। বৃহস্পতিবার (১১ জুন) উত্থাপন করা প্রস্তাবিত এই বাজেটে এনবিআর ও এনবিআর বহির্ভূত খাত মিলিয়ে মোট রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে তিন লাখ ৭৮ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে আগামী অর্থবছরে এনবিআরকে ৩ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য দেওয়া হয়েছে। সবচেয়ে বেশি রাজস্ব আদায় করতে হবে ভ্যাট থেকে। এই খাতে এনবিআরকে ১ লাখ ২৮ হাজার ৮৭৩ কোটি টাকা আদায় করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া আয়কর থেকে আদায় করতে হবে ১ লাখ ৫ হাজার ৪৭৫ কোটি টাকা এবং শুল্ক খাত থেকে আদায় করতে হবে ৯৫ হাজার ৬৫২ কোটি টাকা। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, এনবিআরকে দেওয়া লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে না। বাধ্য হয়ে সরকারকে ব্যাংকের ওপর নির্ভরশীল হতে হবে।

এ প্রসঙ্গে গবেষণা সংস্থা পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী এনবিআরের রাজস্ব আদায় করা সম্ভব হবে না। লক্ষ্যমাত্রা বেশি হওয়ার কারণে কর্মকর্তারা একদিকে চাপে থাকবেন, অন্যদিকে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী রাজস্ব আদায় করতে না পারার একটা গ্লানি ভেতরে ভেতরে কাজ করবে।’

এ প্রসঙ্গে গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের (সিপিডি) গবেষক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, ‘এনবিআরকে চাপিয়ে দেওয়া লক্ষ্যমাত্রা যে পূরণ হবে না, তার প্রমাণ পাওয়া যায় এনবিআরের চেয়ারম্যানের লেখা চিঠিতেই। এতে আরেকটি বিষয় উঠে উঠেছে— এনবিআরের সঙ্গে আলোচনা না করে সরকার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে।’ তিনি বলেন, ‘করোনার এই বাস্তবতায় সরকারের উচিত ছিল— এনবিআরের সক্ষমতার ওপর ভিত্তি করে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা।’

এ বিষয়ে বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান বিআইডিএসের গবেষক ও অগ্রণী ব্যাংকের চেয়ারম্যান ড. জায়েদ বখত বলেন, ‘এনবিআরের কাছ থেকে খুব বেশি আশা করা ঠিক হবে না। কারণ, করোনার এই বাস্তবতায় বিভিন্ন সেক্টরে ছাড় দিতে হচ্ছে। আয়করে ছাড় দিচ্ছে। ভ্যাটেও ছাড় দিতে হচ্ছে। ফলে আদায় করতে পারবে না। এবিআরের জন্য চাপ হবে। কিন্তু তাদের কিছুই করার থাকবে না।’

এনবিআরের ওপর সব সময়ই চাপ থাকে উল্লেখ করে সংস্থার সাবেক চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভুইয়া বলেন, ‘বাজেট যেহেতু উচ্চাভিলাষী, কাজেই অর্জন করতে না পারলেও এনবিআর কর্মকর্তাদের দোষ দেওয়া ঠিক হবে না।’

এর আগে রাজস্ব আয়ের বাস্তব ও প্রকৃত চিত্র তুলে ধরে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম অর্থসচিব আবদুর রউফ তালুকদারকে চিঠি দিয়েছেন। চিঠিতে তিনি জানান, ‘এনবিআরের চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরের সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রাও অর্জিত হবে না। আর ২০২০-২১ অথর্বছরের জন্য এনবিআরের যে রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে, তাও অর্জন করা সম্ভব হবে না। চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেন, চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছর শেষে বড়জোর ২ লাখ ২০ হাজার কোটি টাকা আদায় হতে পারে। সেই হিসাবে চলতি অর্থবছরের মূল লক্ষ্যমাত্রা থেকে এনিবআরের আদায় কমবে ১ লাখ ৫ হাজার ৬০০ কোটি টাকা।’

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও