ছবি সংগৃহীত

নানা সমস্যায় জর্জরিত বগুড়ার মূক ও বধির স্কুল

প্রিয় ডেস্ক
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশিত: ২০ এপ্রিল ২০১৭, ০৩:১৬
আপডেট: ২০ এপ্রিল ২০১৭, ০৩:১৬

বগুড়ার মূক ও বধির স্কুলের শিক্ষার্থীরা। সংগৃহীত ছবি

(প্রিয়.কম) ৭৮ বছরের পুরোনো বগুড়ার মূক ও বধির স্কুলে সহায়ক শিক্ষা উপকরণসহ আবাসিক শিক্ষার্থীদের তিনবেলা খাবার জোটে মানুষের দানে। বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতনভাতা মেলেনি সরকারি ভাবে। নানা সমস্যায় জর্জরিত এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৭০ জন আবাসিক শিক্ষার্থীসহ মোট শিক্ষার্থী রয়েছে ১৯৩ জন। আর শিক্ষক কর্মচারী রয়েছেন ২১ জন।

২০ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সময় টিভি’এক প্রতিবেদনে এ সব তথ্য উঠে এসেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৯৩৯ সালে বগুড়া শহরের শেরপুর রোডের কলোনি এলাকায় চার একর জমির ওপর ব্যক্তিগত উদ্যোগে প্রতিবন্ধীদের জন্য প্রতিষ্ঠিত হয় মূক ও বধির স্কুল। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদিত এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ড ও জাতীয় বধির সংস্থা কর্তৃক স্বীকৃত এ প্রতিষ্ঠানে এখনও মিলেনি পিএসসি ও জেএসসি পরীক্ষা দেওয়ার অনুমতি।

বিদ্যালয়টিতে দ্বিতল একাডেমিক ভবন, খেলার মাঠ, শিক্ষক, শিক্ষার্থীদের আবাসিক হোস্টেলসহ সব কিছুই রয়েছে। তবে, সহায়ক শিক্ষা উপকরণসহ আবাসিক শিক্ষার্থীদের তিনবেলা খাবার জোটে মানুষের দানে। আর বিদ্যালয়টি এমপিওভুক্তি কিংবা সরকারীকরণ না হওয়ায় চাকুরী শেষে খালি হাতে যেতে হচ্ছে শিক্ষক কর্মচারীদের।

অভিভাবকদের দাবি ৮ম শ্রেণি নয়, এসএসসি পর্যন্ত পাঠ দান করা হোক এ বিদ্যালয়ে। বগুড়া মূক ও বধির বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি সাধারণ সম্পাদক শুভাশীষ পোদ্দার লিটন বলেন, ‘জেলার প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের কাছে একটি দরখাস্ত প্রেরণ করেছি। যেন আগামী দিনে আমাদের এই শিশুরা জেএসসি ও পিএসসি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করতে পারে।’

সমস্যার কথাগুলো ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হলেও এখনো সীমাবদ্ধ রয়েছে শুধু আশ্বাসে। বগুড়া সমাজ সেবা অধিদফতরের উপ-পরিচালক মো. সহিদুল ইসলাম খাঁন বলেন, ‘তাদের একটি দরখাস্ত আমাদের কাছে আছে। কিন্তু তিন মাসের একটি ইনজেনশন দেওয়া আছে। আর এটি উঠে গেলে আমরা সরকারীকরণ করতে পারবো বলে আশা করি।’

প্রিয় সংবাদ/শিরিন/আশরাফ