পরিবেশই অর্ধেক সুস্থ করে তোলে রোগীদের

www.ajkerpatrika.com মধুপুর (টাঙ্গাইল) প্রকাশিত: ১১ মে ২০২৫, ০৯:১৭

প্রকৃতির কোলে অরণ্যবেষ্টিত গ্রামের নাম হাগুড়াকুড়ি। মধুপুর সদর থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরের এই গ্রামে প্রতিদিন ছুটে আসে শত শত রোগী। আধুনিক চিকিৎসা নয়; আন্তরিক সেবার টানেই নির্ভাবনায় বিভিন্ন জেলা থেকে প্রতিনিয়ত তাদের ছুটে আসা। মানবিকতায় পূর্ণ চিকিৎসক-নার্স-কর্মচারীদের সেবা আর মনোরম পরিবেশই অর্ধেক সুস্থ করে তোলে তাদের।


মনোমুগ্ধকর পরিপাটি এই চিকিৎসাসেবা কেন্দ্রের নাম কাইলাকুড়ি স্বাস্থ্য পরিচর্যা কেন্দ্র। ১৯৮৩ সালে প্রতিষ্ঠিত এই স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রের বর্তমান নাম ডক্টর বেকার’স অর্গানাইজেশন ফর ওয়েল-বিং। মানবতাপূর্ণ এই প্রতিষ্ঠান টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার দারিদ্র্যপীড়িত হিন্দু, মুসলিম, গারো-অধ্যুষিত এলাকায় স্থাপন করেছেন নিউজিল্যান্ডের বাসিন্দা ডা. এড্রিক বেকার। যিনি ডা. বেকার ভাই নামে দেশজুড়ে পরিচিত ছিলেন। স্থানীয়ভাবে পরিচিত গরিবের ডাক্তার হিসেবে। ২০১৫ সালে তাঁর মৃত্যুর পর এই প্রতিষ্ঠানের নামের পরিবর্তন করেন তাঁর ভক্তরা।


জানা যায়, ১৯৪১ সালে নিউজিল্যান্ডের রাজধানী ওয়েলিংটনে জন্ম নেওয়া ডাক্তার এড্রিক বেকার ১৯৬৫ সালে অটাগো ইউনিভার্সিটি থেকে এমবিবিএস পাস করেন। সেখান থেকে অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডে পোস্টগ্র্যাজুয়েশন করে চলে যান যুদ্ধবিধ্বস্ত ভিয়েতনামে। পরে বিভিন্ন দেশ ঘুরে আসেন বাংলাদেশে। প্রথমে জলছত্র মিশনে থেকে তিনি বাংলা ভাষা চর্চা করেন। ১৯৮৩ সালে গড়ে তোলেন কাইলাকুড়ি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র। মাটির দেয়ালে নির্মিত ঘরে মাটির বিছানায় শুইয়ে রোগীদের স্বাস্থ্যসেবা দিতে শুরু করেন তিনি। মৃত্যুর আগপর্যন্ত সেবা দিয়েছেন। এরপরে তাঁর রেখে যাওয়া কর্মীরাই হাসপাতালটির হাল ধরেন। এই হাসপাতালের চিকিৎসকদের সঙ্গে যুক্ত হন মানবদরদি আমেরিকান এক চিকিৎসক দম্পতি। বর্তমানে ৮০ জন কর্মী বাহিনী প্রতিনিয়ত স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে চলছেন নিতান্ত দরিদ্র মানুষগুলোকে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও