প্রতীকী ছবি

শুধু ১০টি কৌতুক

প্রিয় ডেস্ক
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশিত: ১৪ জানুয়ারি ২০১৯, ১৬:৩০
আপডেট: ১৪ জানুয়ারি ২০১৯, ১৬:৩০

(প্রিয়.কম) নিজের চনমনে ভাব বজায় রাখতে হাসির বিকল্প নেই। নানা কারণে মানুষ হেসে থাকেন। এর অন্যতম একটি অনুষঙ্গ হচ্ছে কৌতুক। আজ থাকছে ১০টি কৌতুক।

০১. সুখী দম্পতি!

এক বাসায় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সারাদিন ঝগড়া চলে। অথচ তাদের পাশের বাসায় দিন-রাত হাসির শব্দ শোনা যায়।

একদিন ওই স্বামী পাশের বাসার ভদ্রলোকের কাছে জানতে চাইলেন, আচ্ছা ভাই, আমার স্ত্রী তো সারা দিন আমার সাথে ঝগড়া করে। আর আপনার বাসা থেকে সবসময় হাসির আওয়াজ পাই। আপনারা ঝগড়া না করে এত সুখে কী করে থাকেন, বলুন তো?

ভদ্রলোক রেগে বললেন, কে বলেছে আমরা সুখে আছি? কে বলেছে ঝগড়া করি না?

প্রথম ব্যক্তি: ইয়ে মানে, তাহলে যে আপনার বাসা থেকে সবসময় হাসাহাসির আওয়াজ আসে?

দ্বিতীয় ব্যক্তি: আরে দূর মিয়া, আমার বউয়ের সাথে সবসময় ঝগড়া লেগেই আছে। আর ঝগড়া হলেই ও হাতের কাছে যা পায়, আমার দিকে ছুড়ে মারে। আমার গায়ে লাগলে খুশিতে বউ হাসে, আর না লাগলে খুশিতে আমি হাসি।

০২. চাচা-ভাগ্নে

চাচা হুজুর। কিন্তু তার ভাগ্নেটা একদম নামাজ পড়ে না। চাচা ভাগ্নেকে অনেক বোঝালেন। কিছুতেই কাজ হয় না। শেষমেশ চাচা ভাগ্নেকে বললেন

চাচা: তুই এখন থেকে নামাজ পড়লে তোকে পাঁচ টাকা করে দেবো।

ভাগ্নে তো কথা শুনে মহাখুশি। সে খুশিমনে নামাজ পড়তে গেল। নামাজ পড়ে এসে চাচাকে বলল, চাচা, নামাজ পড়ে এসেছি। এবার টাকা দাও।

চাচা: কিসের টাকা? তু্ই নামাজ পড়ছিস নেকি (পুণ্য) পাইছিস। তোকে আবার টাকা দেবো কেন?

ভাতিজা : চাচা, আমি জানতাম তুমি এইরকম করবা। আমিও কম যাই নাই। আমি নামাজ ঠিক-ই পড়ছি কিন্তু ওজু করি নাই।

০৩. বাথরুম

মা: মোবাইল নিয়া কই যাইতাছোস?

ছেলে: বাথরুমে।

মা: কেন?

ছেলে: যদি কারেন্ট যায়, তাই।

মা: তো হেডফোন নিতাছোস ক্যান?

ছেলে: ভয় লাগলে গান শুনুম তাই।

মা: কাঁথা-বালিশও নিয়া যা, গান শুনতে শুনতে যদি ঘুম আসে!

০৪. গরু

ভদ্রলোক: এই যে, তুমি যে ভিক্ষা চাইতাছো, আমি কীভাবে বুঝব যে তুমি চোখে দেখো না?

ভিক্ষুক: ওই যে দূরে একটা গরু ঘাস খাইতাছে আপনি দেখতাছেন?

ভদ্রলোক জবাবে বললেন, হ্যাঁ।

ভিক্ষুক বলল, ওইটা আমি দেখতাছি না।

০৫. পানের পিক

সিনেমা হলে সিনেমা দেখতে গেছে এক যুবক। তার পাশের সিটে বসেছে এক বুড়ো। ওই বুড়োর হাতে একটা ছোট পেপসির বোতল।

বুড়ো পাঁচ মিনিট পরপর বোতলে চুমুক দিচ্ছেন। সিনেমায় দুর্দান্ত অ্যাকশন চলছে। কিন্তু একটু পরপর বুড়ো পেপসির বোতলে চুমুক দেওয়ায় যুবকের খুব ডিস্টার্ব হচ্ছিল।

এভাবে অনেকক্ষণ চলার পরে যুবক বিরক্ত হয়ে বুড়োর হাত থেকে পেপসির বোতলটা কেড়ে নিয়ে বলল, এটুকু খেতে এতবার চুমুক দিতে হয়?

এই দেখেন, কীভাবে খেতে হয়। এই বলে যুবক এক চুমুকে বোতলে থাকা পানীয় খেয়ে ফেলল।

বুড়ো ভীষণ অবাক হয়ে বলল, এ কি করলে বাবা! আমি তো পেপসি খাচ্ছিলাম না। ওই বোতলে একটু পর পর পানের পিক ফেলছিলাম।

০৬. বিচারক ও আসামি

বিচারক ও আসামির মধ্যে কথোপকথন হচ্ছে।

বিচারক: তুমি কি জানো মিথ্যে বললে কী হবে?

আসামি: জি হুজুর। নরকে যাব।

বিচারক: সাবাস! আর সত্য বললে?

আসামি: মামলায় হেরে যাব।

০৭. লাচ্ছি

এক ভদ্রলোক এক বাসায় গিয়ে পানি চাইলেন।

ছোট বাচ্চা: পানি নেই। লাচ্ছি চলবে?

ভদ্রলোক: অবশ্যই। অনেক শুকরিয়া।

লোকটি পাঁচ বাটি লাচ্ছি পরপর খেয়ে জিজ্ঞেস করল, তোমাদের বাসায় কেউ লাচ্ছি খায় না?

বাচ্চা: জি, খায়। কিন্তু আজ লাচ্ছিতে টিকটিকি পড়েছে বলে কেউ খায়নি।

এ কথা শুনে লোকটির হাত থেকে কাচের বাটিটি পড়ে গেল। তখন বাচ্চাটি কাঁদতে কাঁদতে বলল, এই ভদ্রলোক কাচের বাটি ভেঙে ফেলেছেন। এখন আমার কুকুর দুধ খাবে কিসে!

০৮. রাইতে শিডিউল

একবার গ্রামের দুজন অশিক্ষিত লোক মহাকাশ ভ্রমণ নিয়া কথা বলছিলেন।

প্রথম জন: আমেরিকানরা চাঁদে গেছে।

দ্বিতীয় জন: তো কী হইছে? আমরা সূর্যে যামু।

প্রথম জন: সম্ভব না । সূর্যের ১৩ মিলিয়ন মাইলের মধ্যে আইলে রকেট গইলা যাইব।

দ্বিতীয় জন (মাথা চুলকিয়ে): ঠিক আছে। রাইতে শিডিউল ফেললে রকেটের কিছু হইব না।

০৯. বোঝার উপায়ই নেই

কার স্ত্রী কতটা ভালো তা নিয়ে কথা বলছে তিন বন্ধু।

প্রথম বন্ধু: আমার তানিয়ার কোনো তুলনা নেই। চা খেতে গিয়ে আমার হাত থেকে কাপ পড়ে টুকরো টুকরো হয়ে গেল। তানিয়া সেটা নিয়ে এমনভাবে আঠা লাগিয়ে দিল যে বোঝারই উপায় নেই ওটা ভেঙেছিল।

দ্বিতীয় বন্ধু: একবার আমার প্যান্ট ছিঁড়ে গেল। আমার প্যান্ট সে এমনভাবে সেলাই করে দিলো, দেখে বুঝতেই পারবে না ওটা কোনোকালে ছিঁড়ে গিয়েছিল।

তৃতীয় বন্ধু: আমার ল্যুবা আমার শার্টটা ধুয়ে দিয়েছে, তাকিয়ে দেখ, বোঝার উপায়ই নেই যে ওটা ধোয়া হয়েছে।

১০. রাগ

একদিন ছেলে বসে পড়ছিল। তখন বাবা ছেলের পাশে বসল—

বাবা: তুই সারা দিন এমন চুপচাপ থাকিস কেন?

ছেলে: কেন বাবা আমি তো কথা বলি।

বাবা: তোকে অযথা এত বকাঝকা করি অথচ কিছু বলিস না। প্রতিবাদ করিস না।

ছেলে: কেন বাবা, আমি তো প্রতিবাদ করি।

বাবা: কই করিস? আমি যে দেখি না!

ছেলে: কেন বাবা তুমি বকা দিলে আমি টয়লেটে যাই।

বাবা: টয়লেটে গেলে কি রাগ কমে? টয়লেটে গিয়ে কী করিস যে রাগ কমে?

ছেলে: টয়লেট ব্রাশ করি।

বাবা: টয়লেট ব্রাশ করলে কি রাগ কমে?

ছেলে: কেন আমি তোমার ব্রাশ (দাঁতের) দিয়ে টয়লেট ব্রাশ করি।