ছোট পর্দার ব্যস্ত অভিনেত্রী কাজী নওশাবা আহমেদ জুলাইয়ের শুরুতে এক সাক্ষাৎকারে বললেন, ১১ মাস তিনি কোনো কাজ পাননি, কেউ ডাকেনি!
আরেক অভিনেত্রী মৌ শিখা ২৫ জুলাই এক ফেইসবুক পোস্টে লিখলেন, “গত আড়াই মাস ধরে নিজেকে অভিনেত্রী ভাবতে লজ্জা হচ্ছে। আগে যেখানে মাসে ১৫ থেকে ২০ দিন কাজ করতাম সেখানে আড়াই মাস যাবত মাসে চার থেকে পাঁচ দিন কাজ করছি। তাহলে কীভাবে মনে হবে আমি অভিনয় শিল্পী?”
নাটকের সংখ্যা ‘কমে গেছে’, নতুনদের ভিড়ে এক সময়ের ব্যস্ত শিল্পীরা ‘ধীরে ধীরে হারিয়ে যাচ্ছেন’–এমন সব হতাশার বাক্যে গত মাসখানেক ধরেই সোশাল মিডিয়ায় ঘুরছে। নাটকের কলাকুশলীদের কাজ কমে যাওয়ার খবরও প্রকাশিত হয়েছে কোনো কোনো সংবাদমাধ্যমে।
আসলে কী ঘটেছে? নাটক কি কমে গেছে? নাকি কোনো কোনো অভিনয়শিল্পীকে কাজ দেওয়া হচ্ছে না? এই শিল্পে কোনো ধরনের সংকট তৈরি হয়েছে?
কয়েকজন অভিনয়শিল্পী ও নির্মাতা বললেন, ঈদের পর প্রতিবছরই বিনোদনঅঙ্গনের এই সময়টা 'সাময়িক ভাটা' চলে; এবারও তাই হয়েছে। তাছাড়া বর্ষাকালে জুন থেকে কয়েক মাস আউটডোর শুটিং কম হয়।