একেক জনের ক্ষেত্রে একেকটি হেয়ার রিমুভাল পদ্ধতি ভালো কাজ করে। ছবি: সংগৃহীত

মুখের অবাঞ্ছিত লোম দূর করার কার্যকরী ৭টি উপায়

কে এন দেয়া
সহ-সম্পাদক
প্রকাশিত: ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৬:৪২
আপডেট: ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৬:৪২

(প্রিয়.কম) পার্লারে যত বিউটি ট্রিটমেন্ট করানো হয়, তার মাঝে সবচেয়ে যন্ত্রণাদায়ক হলো হেয়ার রিমুভাল। থ্রেডিং বা ওয়াক্সিং এর ব্যথার ভয় পান অনেকেই। কিন্তু অবাঞ্ছিত লোম অপসারণের আরো কিছু উপায় আছে। একেক জনের ক্ষেত্রে একেকটি হেয়ার রিমুভাল পদ্ধতি ভালো কাজ করে। দেখে নিন মুখের লোম দূর করার ৭টি উপায় এবং কোন ক্ষেত্রে কোন উপায়টি ভালো-

১) প্লাক করা

এই পদ্ধতির সাথেই বেশিরভাগ নারী পরিচিত, বাড়িতে অনেকেই নিজের ভ্রু নিজে প্লাক করে নেন। অল্প জায়গা, যেমন ভ্রু ও আপার লিপসের জন্য প্লাক করাটাই সুবিধাজনক। মুখে অন্য কোথাও অবাঞ্ছিত লোম না থাকলে এই পদ্ধতিটিই আপনার জন্য সবচেয়ে ভালো। ভ্রু প্লাক করার জন্য চিমটা বা টুইজার ব্যবহার করা হয়। প্রতিবার ব্যবহারের পর টুইজার ভালো করে সাবানপানিতে ধুয়ে শুকিয়ে রাখুন।

২) ওয়াক্সিং

বেশ কয়েক ধরণের ওয়াক্সিং করা যায় গলা, চিবুক ও গালের অবাঞ্ছিত লোম দূর করার জন্য। এমনকি ভ্রু ও আপার লিপসের লোম দূর করতেও ওয়াক্সিং করানো যায়। তবে ওয়াক্সিং সবার জন্য নয়। যাদের ত্বক সংবেদনশীল, তাদের জন্য তো নয়ই। ওয়াক্সিং করানোর পর ত্বক লালচে হয়ে উঠতে পারে এবং জ্বালাপোড়া করতে পারে। তাই চিন্তাভাবনা করে নিন ওয়াক্সিং করানোর আগে।

৩) শেভিং

মুখের ত্বকে রেজর ধরতে অস্বস্তিবোধ করেন অনেক নারীই। রেজর দিয়ে লোম অপসারণ করলে তা আরো ঘন হয়, এই কুসংস্কারে বিশ্বাস করেন অনেকে। কিন্তু তা সত্যি নয়। মুখের ত্বকে ব্যবহারের জন্য আলাদা এক ধরনের রেজর পাওয়া যায়, সেটা ব্যবহার করতে পারেন। গোসল করার পর ত্বক নরম হলে তখন তেল মাখুন ত্বক। এরপর শেভ করুন। এতে ত্বকের ক্ষতি কম হবে। শেভ করার পর ভালো মানের ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।

পার্লারে গিয়ে থ্রেডিং করানোটাই নিরাপদ। ছবি: সংগৃহীত

৪) থ্রেডিং

পার্লারে গিয়ে ভ্রু ও আপার লিপস থ্রেডিং করানোর চলটা বেশ পুরনো। তবে প্রশিক্ষন না থাকলে থ্রেডিং করানোটা বিপজ্জনক। এতে ত্বক কেটে যেতে পারে। থ্রেডিং নিজে না করে ভালো পার্লারে গিয়ে করানোই ভালো।

৫) ডেপিলেটরি ক্রিম

হেয়ার রিমুভাল ক্রিম বা ডেপিলেটরি ক্রিম ব্যবহারের আগে অবশ্যই প্যাচ টেস্ট করে নিন। অর্থাৎ ত্বক খুব অল্প করে দিয়ে দেখুন। এতে যদি অ্যালার্জির মতো প্রতিক্রিয়া হয় তাহলে তা আর ব্যবহার করবেন না। ত্বকের বেশ খানিকটা অংশ জুড়ে লোম অপসারণে এই ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন।

৬) টপিক্যাল প্রেসক্রিপশন

ত্বকের চিকিৎসক অর্থাৎ ডার্মাটোলজিস্টের সাথে কথা বলে ওষুধ ব্যবহার করতে পারেন। সাধারণত কিছু মলম দেওয়া হয় যাতে ত্বকের ওই অংশে লোমের বৃদ্ধি কমে যায়। তবে অই মলম ব্যবহার বন্ধ করে দিলে আবারো লোম ঘন হতে থাকবে।

৭) লেজার ও ইলেকট্রোলাইসিস

এই দুইটি পদ্ধতিতে গোড়া থেকে লোম নির্মূল করা হয়। বেশি এলাকা জুড়ে লোম অপসারণে লেজার এবং কম এলাকার জন্য ইলেকট্রোলাইসিস পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। মোটামুটি স্থায়ীভাবে লোম অপসারণে এই দুইটি পদ্ধতি ব্যবহার হয়। তবে দুটোরই খরচ অনেক বেশি।

সুত্র: গুড হাউজকিপিং

প্রিয় লাইফ/ আর বি