নৃত্যরত দুই পুরুষ দাঁড়াশ সাপ। ছবিটি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের লেকে তোলা। ছবি: লেখক

দাঁড়াশ সাপ

নোমান আল মুক্তাদীর
ছাত্র
প্রকাশিত: ১৯ মার্চ ২০১৮, ২১:৫০
আপডেট: ১৯ মার্চ ২০১৮, ২১:৫০

(প্রিয়.কম) ‘সাপ’ দেখলে ভয় পায় না এমন লোক খুব কমই আছে। আর সাপ দেখলে তাকে লাঠি নিয়ে মারতে যেতে হবে, তাও যেন হয়ে গেছে এক ধরনের নিয়ম, হোক সাপটি বিষধর বা বিষহীন।

ভৌগলিক অবস্থানের কারণে বাংলাদেশ হলো প্রাণী বৈচিত্র্যে আশীর্বাদ স্বরূপ এক দেশযেখানে বিভিন্ন প্রকার সরীসৃপের বসবাস, যার সিংহভাগ দখল করে আছে বিভিন্ন প্রকার সাপ

সাপের মধ্যে দাঁড়াশ সাপ হলো বাংলাদেশের এক অতিপরিচিত বিষহীন সাপ। কলুব্রিডে (Colubridae) পরিবারের এই সাপটিকে ইংরেজিতে ডাকা হয় র‍্যাট স্নেক নামে, যার বৈজ্ঞানিক নাম হলো টিয়াস মুকোসা (Ptyas mucosa) হলুদ বাদামি বা হালকা বাদামি বর্ণের সাপটি প্রায় তিন মিটার বা তার থেকেও বেশি লম্বা হতে পারে।

সাধারণত দাঁড়াশ সাপকে মানুষের আবাসস্থলে আশপাশে, চাষের জমি, বন-জঙ্গল বা ছোট ঝোঁপঝাড়ে দেখতে পাওয়া যায়। দিবাচর সাপটি খুবই দ্রুতগতিতে চলাফেরা করতে পারে এবং গাছে বেয়ে উঠতে বা সাঁতার কাটতেও ভালো পারদর্শী। ইঁদুর, ব্যাঙ, ছোট সাপ বা পাখি, বাদুর, গিরগিটি ইত্যাদি রয়েছে এর খাবারের তালিকায়।

স্ত্রী সাপ মূলত মার্চ থেকে সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে ১০ থেকে ২২টি ডিম দিয়ে থাকে।

পুরুষ দাঁড়াশ সাপকে প্রায়ই দেখা যায়, নিজেদের মধ্যে ‘যুদ্ধনৃত্য’ করতে। অনেকেই এটিকে তাদের মিলন বলে ভেবে থাকেন।

দাঁড়াশ সাপ সম্পর্কে একটি ভুল ধারণা অনেকের মাঝে রয়েছে। অনেকেই ভাবেনএর লেজে একপ্রকার কাটা রয়েছে যাতে বিষ থাকে। আবার অনেকেই গোখরা সাপ ভেবে ভুল করে ফেলে। আর জন্যই মারাও পড়ে প্রচুর পরিমাণে। মূলত সাপ সম্পর্কে সচেতনতাই পারে এদের বাঁচাতে। 

প্রিয় সংবাদ/আফসানা সুমী