অস্থিরতা কাটছে না শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে

যুগান্তর প্রকাশিত: ০৯ মে ২০২৫, ০৯:০২

দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে এক ধরনের অচলাবস্থা বিরাজ করছে। শিক্ষার্থীরা পড়াশোনার চেয়েও আন্দোলন ও রাজনীতিকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন। প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সম্পৃক্ত বিভিন্ন গোষ্ঠীর স্বার্থ হাসিলে নানা অপরাধমূলক কাজে জড়াচ্ছেন কিছু উচ্ছৃঙ্খল শিক্ষার্থী। পরিকল্পিতভাবে মব সৃষ্টি করে শিক্ষকদের নির্যাতন ও পদত্যাগে বাধ্য করছেন তারা। ছোট-বড় যে কোনো ইস্যুকে কেন্দ্র করে প্রতিষ্ঠানের প্রধানের বিরুদ্ধে আন্দোলনও গড়ে তুলছেন তারা। নিজেদের ক্ষমতা প্রদর্শনে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে এসব শিক্ষার্থী। এছাড়া পরীক্ষা পেছানোসহ নানা অযৌক্তিক দাবিও রয়েছে তাদের। শিক্ষার্থীদের হাতে লাঞ্ছিত হওয়ার ভয় কিংবা ক্ষোভে-অভিমানে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিচ্ছেন অনেক আত্মমর্যাদাশীল শিক্ষক। শিক্ষার্থীদের লাঞ্ছনা সহ্য করতে না পেরে অনেক শিক্ষক মৃত্যুবরণ করেছেন। কেউ কেউ মারধরের শিকার হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। জোর করে পদত্যাগ করা অনেক শিক্ষক ভয়ে প্রতিষ্ঠানে আর যেতে পারছেন না। এমন অনেক শিক্ষক বেতন-ভাতাও পাচ্ছে না। এতে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই চলছে এমন অস্থিরতা।


সংশ্লিষ্টরা বলছেন, যদি কোনো শিক্ষক অপরাধ করে থাকেন, তাহলে তাকে আইনানুগভাবে বিচার করা উচিত। কোনো অবস্থাতেই ছাত্ররা শিক্ষককে নিগৃহীত বা অপমান করতে পারে না। শিক্ষকদের শিক্ষা দেওয়ার দায়িত্ব ছাত্রদের নয়; এজন্য রয়েছে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ। শিক্ষকদের প্রতি ছাত্রদের শ্রদ্ধা ও সম্মান থাকা উচিত, কারণ শিক্ষকতা একটি মহান পেশা। পরিকল্পিতভাবে শিক্ষকের মর্যাদা এভাবে ধ্বংস করা মানে দেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে দুর্বল করা বলে মনে করছেন শিক্ষাসংশ্লিষ্টরা। কেউ কেউ বলছেন, কিছু কিছু রাজনৈতিক দলদাশ ও দুর্নীতিবাজ শিক্ষকদের কারণে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এদিকে ছাত্র-ছাত্রীদের আন্দোলন ও নানা অনৈতিক কর্মকাণ্ডের কারণে শিক্ষায় বিরূপ প্রভাব পড়ছে। এমনকি ক্লাস ও পরীক্ষা থেকেও মনোযোগ হারাচ্ছেন তারা। এতে পড়াশোনাবিমুখ এক জাতি তৈরি করছেন তারা। একই সঙ্গে আন্দোলন সংগ্রামের অস্থিরতায় বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হচ্ছে সেশনজট। শিক্ষার্থীদের সুস্থ ধারায় ফিরিয়ে আনতে প্রতিষ্ঠানগুলোতে দ্রুত ছাত্র সংসদ নির্বাচন ও সরকারকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে বলে জানান তারা।


বৃহস্পতিবার ইউজিসি কর্তৃক বাজেট বৃদ্ধি, আবাসন ভাতা, হল নির্মাণ ও জকসু রোডম্যাপ ঘোষণার দাবিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে (উপাচার্য ভবন) তালা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। বুধবার (৭ মে) শিক্ষার্থীদের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পদত্যাগ না করায় বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. সুচিতা শরমিনকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে শিক্ষার্থীরা। একই সঙ্গে তারা তার সরকারি বাসভবনের মূল ফটকে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে। শিক্ষার্থীরা জানিয়েছে, অবিলম্বে ভিসি পদত্যাগ না করলে অনশনসহ বৃহত্তর দক্ষিণাঞ্চলে কর্মসূচি ছড়িয়ে দিয়ে অঞ্চল অচল করে দেওয়া হবে।


সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও