
ছবি সংগৃহীত
হজরত দাউদ আলাইহিস সালাম কত বছর জীবিত ছিলেন
আপডেট: ০২ ডিসেম্বর ২০১৫, ০২:৩৪
প্রখ্যাত হাদিসবেত্তা হজরত হাকিম রহ. তাঁর মুসতাদরাক কিতাবে একটি বর্ণনা করেছেন, যার সারাংশ হলো, হজরত আবু হুরায়রা রা. বলেন, নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহিস ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, ঊর্ধ্বজগতে যখন হজরত আদম [আ.]-এর ঔরস থেকে তাঁর সন্তানদেরকে বের করে তাঁর সামনে পেশ করা হয়, তখন তিনি একজন সুশ্রী, দীপ্তিময় কপালবিশিষ্ট ব্যক্তিকে দেখতে পেয়ে জিজ্ঞেস করেন, হে পরওয়ারদিগার, এ লোকটি কে? উত্তর এলো, তোমার সন্তানদের মধ্য হতে অনেক পরে আগম্য দাউদ। হজরত আদম [আ.] জিজ্ঞেস করলেন, তাঁর জন্য কী পরিমাণ হায়াত রাখা হয়েছে? ইরশাদ হলো, ষাট বছর। হজরত আদম [আ.] নিবেদন করলেন, হে প্রভু, আমি আমার জীবনের চলিশ বছর এ যুবককে দিচ্ছি। এরপর যখন হজরত আদম [আ.]-এর মৃত্যুর সময় ঘনিয়ে আসে, তখন তিনি রুহ কবযকারী ফেরেশতাকে বললেন, এখনো তো আমার জীবনের চল্লিশ বছর অবশিষ্ট আছে। ফেরেশতা বললেন, আপনি ভুলে গেছেন। আপনি এ পরিমাণ জীবনাংশ আপনার এক সন্তান দাউদকে দিয়েছেন। উল্লিখিত বর্ণনা থেকে বুঝে আসে যে, হজরত দাউদ [আ.] একশো বছরের হায়াত পেয়েছিলেন। তাওরাতের ‘সালাতিন’ অধ্যায়ে রয়েছে যে, হজরত দাউদ [আ.] অতি বৃদ্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। তিনি ইসরাইলিদের ওপর চল্লিশ বছর রাজত্ব করেছিলেন। ‘আর দাউদ বিন ঈশি সমগ্র ইসরাইলিদের ওপর রাজত্ব করেন। তার রাজত্বকাল ছিলো চল্লিশ বছর। তিনি জাবরুনে সাত বছর ও জেরুজালেমে পয়ত্রিশ বছর রাজত্ব করেন। তিনি অতি বৃদ্ধ বয়সে, দৌলত ও সম্মানে পরিতৃপ্ত অবস্থায় পরলোকগমন করেন।’ জাফর ইবনে মুহাম্মদ বলেন, হজরত দাউদ [আ.] সত্তর বছর রাজত্ব করেছিলেন। আর হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. বলেন, হজরত দাউদ [আ.]-এর ইন্তিকাল হঠাৎ করে শনিবার হয়েছিলো। সেদিন তিনি নির্দিষ্ট ইবাদত করছিলেন। এ সময় একদল পাখি তাদের পরগুলো পরস্পরে বিযুক্ত করে মাথার ওপর ছায়া দিচ্ছিলো। হঠাৎ এ অবস্থায় তিনি ইন্তিকাল করেন। সূত্র : কাসাসুল কুরআন, তাফসিরে ইবনে কাসির হাফেজ মাওলানা সালাহউদ্দীন জাহাঙ্গীর