
ছবি সংগৃহীত
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যায়ের ঐতিহ্যবাহী সুর্বণ জয়ন্তী টাওয়ার
আপডেট: ২০ জুন ২০১৫, ০৯:২১
(আরিফুল ইসলাম, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যায় প্রতিনিধি) সংস্কারের অভাবে সৌন্দর্য ও জৌলস হারাচ্ছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যায়ের ঐতিহ্যবাহী সুর্বণ জয়ন্তী টাওয়ার। দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় এ সংকটপূর্ণ অবস্থা দেখা দিয়েছে। এ বিষয়ে বিভিন্ন ব্যাক্তি ও সংগঠন একাধিকবার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে অনুরোধ করলেও কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা গ্রহন করেনি। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, রাজহশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পঞ্চাশ বছর পূর্তিকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য ২০০৩ সালে নির্মাণ করা হয় এই সুবর্ণ জয়ন্তী টাওয়ার। একই বছরের ২১ নভেম্বর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া টাওয়ারটির শুভ উদ্বোধন করেন। রাজশাহীর সন্তান মৃণাল হক ছিলেন এই নান্দনিক স্থাপনার ভাস্কর। দেশের অন্যতম অত্যাধুনিক এই ভাস্কর্যটি নির্মাণ করতে ব্যয় হয় ১৫ লাখ টাকা। বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনের সামনে এবং অগ্রণী ব্যাংকের পশ্চিম পাশে এই সুর্বণ জয়ন্তী টাওয়ারটি অবস্থিত। এটি ইস্পাতের তৈরি একটি ম্যূরাল। এতে তুলে ধরা হয়েছে সভ্যতার ক্রমবিকাম। ম্যূরালটি এখন মরিচা পরে নষ্ট প্রায়। সোনালী রংয়ের এই টাওয়ারটির এখন আর সোনালী রং নেই। সাদা এবং কালো রংয়ে পরিণত হয়েছে। অযন্ত এবং অবহেলার কারণে জং ধরে খসে খসে পড়ছে ম্যূরালের বিভিন্ন অংশ। ম্যূরালের বেদীতে ময়লা আবর্জনা জমে আছে । মূল টাওয়ায়ের পূর্ব পাশে রয়েছে একটি দেওয়াল। এই দেওয়ালের নাম হচ্ছে ইস্পাতের কান্না। এই দেওয়ালে তৈরি করা হয়েছে মালবাহী ভ্যান, ঘোড়ার গাড়ী, মানুষ, সাইকেল, সূর্যমুখী ফুল এবং শহীদ মিনার। কিন্তু এখন আর স্পষ্ট বোঝা যায় না এসব হাতের নিখঁত কারুকার্য। লোহার তৈরি এসব কারুকার্যের সব জায়গাতে মরিচা লেগে গেছে। বিভিন্ন অংশ থেকে খসে পড়ছে এসব নকশা। অযন্ত অবহেলায় আর সংস্কারের কোন উদ্যেগ না থাকায় নষ্ট হতে বসেছে এটি। এর বেহাল দশা দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন অনেক শিক্ষার্থী। বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষর্থী রাশেদ রিন্টু প্রিয়.কম কে বলেন, এটা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিয্য যা ইতিহাসে সাক্ষী হয়ে আছে, সুবর্ণ জয়ন্তী টাওয়ার এবং ম্যূরাল এ আমাদের গ্রাম্য যানবাহন ও জীবনযাত্রা তুলে ধরা হয়েছে। তাই কর্তৃপক্ষের এগুলোর রক্ষার জন্য যথাপোযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। এব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত), মো. সিরাজুম মুনির বলেন, আমরা প্রতি বছরই কোন না কোন উপলক্ষ্যে এটা পরিষ্কার করি। ইস্পাতের ম্যূরালের কিছু অংশ মরিচা পরে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে এ ব্যপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা মেরামত করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মিস্ত্রি দ্বারা হবে না। আমি নিজে দেখেছি এগুলো টিনের কৌওটা এবং অন্য মেটাল দ্বারা তৈরি, অল্প একটু ছোয়া লাগলে তা খসে পরে যাচ্ছে। আমি এর শিল্পী মৃণাল হক এর সঙ্গে কথা বলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মেরামত করা হবে।