ছবি সংগৃহীত

ভূত কি সত্যিই আছে? দেখুন ব্যাখ্যাহীন ৫টি "সত্য" ভুতুড়ে ছবি!

জুলকারনাইন মেহেদী
লেখক
প্রকাশিত: ০৭ জানুয়ারি ২০১৪, ১৫:৫১
আপডেট: ০৭ জানুয়ারি ২০১৪, ১৫:৫১

ভূত! শব্দটি শুনলেই কেউ হেসে উড়িয়ে দেন, কেউ বা ভয়ে আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েন। পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা লেখক-গবেষকরা লিখে শেষ করেছেন, গবেষণার পর গবেষণা করা হয়েছে ভূত আছে কি নেই সেটা নিয়ে। প্রায়ই প্রকাশিত হয়েছে এরকম অনেক ছবি যেগুলো ভূতের অস্তিত্ব নিয়ে তীব্র বিতর্কের সূত্রপাত করেছে। সেরকমই কিছু ছবি নিয়ে প্রিয়.কম এর পাঠকদের জন্য আজকের এই ফিচার। ভূত আছে কি নেই সেইটার ফয়সালা করুন ছবি গুলো দেখে। (১)প্রিয় দাদুর ফিরে আসা! এই ফিচারের প্রচ্ছদের ছবিটির মূল সত্ত্বাধিকারী ডেনিশ রাসেল। ছবিটি তার দাদীর যেটা একটি পারিবারিক পিকনিকের সময় তোলা হয়েছিল। ছবিটি তোলা হয় ১৯৯৭ সালের ১৭ আগস্ট। এরপর থেকে এটা রাসেলের পারিবারিক ছবির অ্যালবামেই রয়ে গিয়েছিল। ইতোমধ্যে রাসেলের দাদী মারা যান। ২০০০ সালে রাসেলের বোন এ ছবিটি খুঁজে পান। রাসেল ও তার বোন চিন্তা করেন, ছবিটির কিছু কপি করে সুন্দর করে বাঁধিয়ে তারা তাদের বাবা-মাকে সেটা ক্রিস্টমাসে উপহার দিতে পারেন। বড়দিনের দিন ছবিটি যখন তারা ভালোভাবে খেয়াল করলেন তখন দেখলেন তাদের দাদীর ছবির পেছনে একজন বয়স্ক ব্যক্তিকে দেখা যাচ্ছে। সে ব্যক্তিটি আর কেউ নন, তাদের মৃত দাদু, যিনি ১৯৮৪ সালের ১৪ আগস্ট মারা গিয়েছিলেন! অথচ ছবিটি তোলা হয়েছে ১৯৯৭ সালে! (২)অশরীরী সৈনিক যখন তার জীবিত সহকর্মীদের সাথে

এ ছবিটি ১৯১৯ সালে তোলা হয়েছিল যেটা ১৯৭৫ সালে রয়েল এয়ার ফোর্সের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা স্যার ভিক্টর গডডার্ড প্রকাশ করেন। ছবিটি প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় দাইদালুস ট্রেনিং ফ্যাসিলিটিতে তোলা। ছবিতে সবার উপরে বাম পাশ থেকে চতুর্থ যে ব্যক্তিকে দেখা যাচ্ছে তার নাম ফ্রেডি জ্যাকসন। তিনি ছিলেন একজন এয়ার মেকানিক, যিনি বিমানের প্রপেলারের আঘাতে দুর্ঘটনাক্রমে মারা যান। ছবিটি ফ্রেডির শেষকৃত্যানুষ্ঠানের দিন তোলা হয়। পরে দেখা যায়, সে স্মরণ অনুষ্ঠানের দিন তোলা ছবিতে মৃত ফ্রেডিও উপস্থিত! (৩)প্রশান্তি দানকারী ভূত
১৯৭৫ সালে ডিয়ান ও পিটার বার্থেলোট তাদের ১২ বছর বয়সী ছেলেকে নিয়ে নরফকের ওর্স্টিড গির্জায় গেলেন। ডিয়ানের প্রার্থনারত এ ছবিটি তুলেন পিটার। বেশ কয়েক মাস পর তারা ছবিটি ভালোভাবে খেয়াল করে দেখলেন, ডিয়ানের পেছনে পুরনো আমলের পোশাক পরা কোন একটি সাদা ছায়া মূর্তি দেখা যাচ্ছে। হতভম্ব অবস্থায় তারা দু’জন সে গির্জায় ফিরে যান। গির্জার রেভারেন্ড পেটিট ছবিটি দেখে বলেন, সাদা ছায়ামূর্তিটি একজন মহিলার। গির্জায় আগত কোন প্রার্থনাকারী যদি আগে থেকেই অসুস্থ থাকেন তবে তাদেরকে কিছুটা প্রশান্তি প্রদান করার ব্যপারে সহযোগিতা করে এই বিদেহী আত্মা। ডিয়ান বেশ বড় একটি মানসিক ধাক্কা খেলেন, কারণ তিনি সেসময় আসলেই অসুস্থ ছিলেন ও এন্টিবায়োটিক সেবন করছিলেন, কিন্তু ফল পাচ্ছিলেন না। (৪)নিঃসঙ্গ যাত্রী
এ ছবিটি আমেরিকার সিভিল যুদ্ধের সময় তোলা। ছায়ার মত যে মানুষ(!)টিকে সিঁড়ি বেয়ে উঠে যেতে দেখা যাচ্ছে ধারণা করা হয়, এটা কোন জীবিত মানুষ নয়। একজন মৃত সৈনিক। (৫)হেলিকপ্টারের ‘ভূত’ পাইলট
এ ছবিটি ১৯৮৭ সালে ইংল্যান্ডের সমারসেট থেকে তোলা। মিসেস সেয়ার ও তার বন্ধুরা ইয়েলভারটনের ফ্লিট এয়ার আর্ম স্টেশনে বেড়াতে গিয়েছিলেন। সেয়ারের বন্ধুরা তাকে বললেন হেলিকপ্টারের পাইলটের সিটে বসে একটি ছবি তুলতে, বেশ মজা হবে। যে কথা সে কাজ। ছবি তোলার পর দেখা গেল ছবিতে সেয়ারের পাশের আসনে সাদা শার্ট পরা একজন ব্যক্তিকে স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছে! অথচ সেয়ার জানান, হেলিকপ্টারে তিনি একাই ছিলেন। এ হেলিকপ্টারটি ইংল্যান্ড ও আর্জেন্টিনার মধ্যে ফকল্যান্ড দ্বীপের অধিকার নিয়ে সংঘটিত যুদ্ধে ব্যবহার করা হয়েছিল।