ছবি সংগৃহীত

ব্লুটুথ (Bluetooth) কি?

Tanvir Mahmud
লেখক
প্রকাশিত: ৩১ জুলাই ২০১৩, ১৬:১৬
আপডেট: ৩১ জুলাই ২০১৩, ১৬:১৬

ব্লুটুথ আবার কি? নীল দাঁত!! হুম খাঁটি বাংলায় বললে তাই বুঝায়। কিন্তু প্রযুক্তির ভাষায় ব্লুটুথ হচ্ছে এক ধরণের তারহীন প্রোটোকল। যা বর্তমান মোবাইল ডিভাইস গুলোতে খুবই জনপ্রিয়। ব্লুটুথের নামকরণ করা হয় ৯০০ অব্দের ডেনমার্কের রাজা হেরাল্ড ব্লুটুথ এর নামে। ব্লুটুথ সাধারণত ১০ মিটার রেঞ্জের মাঝে কাজ করে তবে এনার্জি লেভেল বাড়িয়ে এর রেঞ্জ ১০০ মিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি করা যায়।

bluetooth
ইতিহাস: ১৯৯৪ সালে সুইডিশ কোম্পানি ‘এরিক্সন’ সর্বপ্রথম ব্লুটুথ টেকনোলজি উদ্ভাবন করে। এরপর ১৯৯৮ সালে কিছু গ্রুপ অফ কোম্পানি একসাথে ব্লুটুথ টেকনোলজি নিয়ে কাজ করতে সম্মত হয়। পরবর্তীতে এই কোম্পানিগুলোই Bluetooth Special Interest Group (SIG) নামে একটি সংঘটন গড়ে তোলে যার লক্ষ্য ছিল ব্লুটুথ টেকনোলজি নিয়ে কাজ করা। অর্থাৎ ব্লুটুথ কোন নির্দিষ্ট কোম্পানির মালিকানায় ছিলনা। ব্লুটুথঃ ব্লুটুথ ২.০ এর সর্বোচ্চ ডাটা স্পীড ছিল ৩ এমবিপিএস। আর হালের স্মার্টফোন গুলোতে ব্যবহৃত ব্লুটুথ ৩.০ এর সর্বোচ্চ ডাটা স্পীড হচ্ছে ২৪ এমবিপিএস। ব্লুটুথ একইসাথে ৮ টি ডিভাইসের মাঝে সংযোগ স্থাপন করতে পারে। ব্লুটুথের ট্রান্সমিটার প্রতি সেকেন্ডে ১৬০০ বার ফ্রিকোয়েন্সি পরিবর্তন করে। ব্লুটুথের সেন্ডিং সিগন্যাল পাওয়ার ১ মিলি-ওয়াট যেখানে মোবাইল ফোনের সেন্ডিং সিগন্যাল পাওয়ার ৩ মিলি-ওয়াট। রেঞ্জ: ক্লাস ৩ রেডিয়াস – রেঞ্জ ১ মিটার বা ৩ ফুট। ক্লাস ২ রেডিয়াস – রেঞ্জ ১০ মিটার বা ৩৩ ফুট। সাধারণত মোবাইল ফোন গুলোতে ব্যবহৃত। ক্লাস ১ রেডিয়াস – রেঞ্জ ১০০ মিটার বা ৩০০ ফুট। সাধারণত ইন্ডাস্ট্রিতে ব্যবহৃত। পাওয়ার: ব্লুটুথ টেকনোলজিকে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী করে ডিজাইন করা হয়েছে। বহুল ব্যবহৃত ব্লুটুথ ক্লাস ২ রেডিয়াস ২.৫ মিলি-ওয়াট বিদ্যুৎ ব্যাবহার করে। কিন্তু বেশিক্ষণ ব্লুটুথ চালু রাখলে দ্রুত চার্জ শেষ হয়ে যায়। তাই কাজ শেষে ব্লুটুথ অফ করে দেয়াই ভালো। মোবাইল থেকে মোবাইলে ডাটা আদান প্রদানের ক্ষেত্রে ব্লুটুথ হচ্ছে সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি। আর তাই বর্তমান যুগে ব্লুটুথ খুবই জনপ্রিয়।