
ছবি সংগৃহীত
বেছে নিন সঠিক অলংকার
আপডেট: ৩০ জুন ২০১৩, ১০:২২
অলংকারের ব্যবহার প্রথম কে, কবে, কোথায় করেছিল, তা জানা আজ আর কারো পক্ষে সম্ভব নয়। তবে ভালো লাগা এবং নিজের সৌন্দর্য বৃদ্ধিই যে ছিল অলংকার ব্যবহারের উদ্দেশ্য, তাতে কোনো সন্দেহ নেই! সৌন্দর্য বৃদ্ধি যেখানে অলংকার পরার কারণ, সেখানে অলংকার নির্বাচনেও কৌশলী হওয়া উচিত। কারণ সব ধরনের শারীরিক গড়নে সব ধরনের গয়না মানায় না। তাই অলংকার নির্বাচনের সময় খেয়াল রাখুন যে, তা আপনার শারীরিক গড়ন ও ব্যক্তিত্বের সাথে মানানসই কি না! নয়তো আপনার সৌন্দর্য সম্পূর্ণভাবে বিকশিত হতে নাও পারে। মাথার অলংকার : মাথার অলংকারের মধ্যে রয়েছে চুলের কাঁটা, টিকলি ও ঝাপটা। কাঁটা ও ঝাপটা চুলে পরা হয় বলে এগুলো নিয়ে তেমন সমস্যা নেই, তবে টিকলি নির্বাচনে একটু চিন্তাভাবনা করা উচিত কপালের আকার ও গড়ন নিয়ে। আজকাল শুধু বিয়ের কনেরা নন, উত্সব-অনুষ্ঠানে টিকলি পরেন অনেকেই। কপাল আকারে বড় ও চওড়া হলে বড় আকারের টিকলি পরতে পারেন অনায়াসে। কপাল যদি একটু উঁচু ধরনের হয়, তাহলে পরুন গোলাকার বা অর্ধগোলাকার ডিজাইনের টিকলি। আর কপাল সমতল হলে পরতে পারেন বরফি, চারকোণা বা ডিম্বাকার টিকলি। মাঝারি কপালে বড় টিকলি পরলে টিপ ছোট পরুন। তবে ছোট বা কম চওড়া কপালে মাঝারি বা ছোট আকারের টিকলিই বেশি মানানসই। কানের অলংকার : সাজসজ্জায় কানের অলংকার খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কারণ অনেক সময় অন্যান্য অঙ্গে অলংকার না পরলেও শুধুমাত্র কানে অলংকার পরা হয়। তাই কানের অলংকার নির্বাচনের ক্ষেত্রে একটু বেশি মাত্রায় সতর্ক হওয়া উচিত। কানের অলংকার নির্বাচনের ক্ষেত্রে মুখের গড়নের কথা মাথায় রাখা খুবই জরুরি। মুখ গোলাকার হলে বেছে নিন অর্ধগোলাকার, ডিম্বাকার ও লম্বাটে কানের দুল। গোল মুখে ঘণ্টার মতো ঝুমকা খুবই মানায়। রিং বা মাকড়ি ধরনের কানের দুল পরতে চাইলে একটু নকশা সম্বলিত পরাই ভালো। একেবারে টপ না পরে একটু ঝুলন্ত কানের দুলই বেশি মানাবে।
.jpeg)