ছবি সংগৃহীত

বিশেষজ্ঞের পরামর্শে জেনে নিন গলব্লাডার পলিপ সম্পর্কে অত্যন্ত জরুরী কিছু তথ্য

Kaniz DIya
লেখক
প্রকাশিত: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫, ১৭:২৩
আপডেট: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫, ১৭:২৩

(প্রিয়.কম) গলব্লাডার পলিপ হচ্ছে গলব্লাডারের খানিকটা লাম্পের মতো গঠন হওয়া। মূলত একটি দেহের কোলেস্টেরলের কারণে গড়ে ওঠে। এটি খুবই সাধারণ একটি বিষয়। কিন্তু যদি গলব্লাডারের এই পলিপ কোলেস্টেরলের কারণে না হয়ে টিউমারের কারণে হয়ে থাকে তাহলে তা অবশ্যই বিশেষভাবে লক্ষণীয়। কারণ টিউমার বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই অবহেলার কারণে ক্যান্সারের দিকে মোড় নিতে পারে। তাই গলব্লাডার পলিপটি আসলে কি ধরণের তা জেনে নেয়া খুবই জরুরী। আজকে চলুন চিকিৎসকের পরামর্শে জেনে নেয়া যাক এই গলব্লাডার পলিপ সম্পর্কিত জরুরী কিছু তথ্য।

আকার জানা জরুরী

ডঃ রানা চৌধুরী প্রিয়.কমকে জানান, গলব্লাডার পলিপটির আকার সম্পর্কে জানা খুবই জরুরী। কারণ অনেকক্ষেত্রে আকারেই বুঝে নেয়া যায় পলিপটি সাধারণ কোলেস্টেরল থেকে গঠিত নাকি টিউমার। সাধারণত ১ সেন্টিমিটারের বেশী হলে তা টিউমার বলে ধরে নেয়া হয়, কিন্তু এর চাইতে কম আকারের হলে তা নিয়ে দুশ্চিন্তার কিছু নেই।

কীভাবে বুঝবেন পলিপটি ক্ষতিকর কিনা

আলট্রাসাইন্ডের মাধ্যমে পলিপের অবস্থান এবং আকার সম্পর্কে নিশ্চিত করে বলা সম্ভব হয়। এরপর এর গঠন এবং আকার সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে চিকিৎসক বলতে পারেন পলিপটি ক্ষতিকর কিনা। যদি বিশেষজ্ঞের মনে হয় পলিপটি ক্ষতিকর বা খারাপ দিকে মোড় নিতে পারে তাহলে তিনি ‘কম্পিউটেড টোমোগ্রাফি’ কিংবা ‘পজিট্রন ইমিসন টোমোগ্রাফি’ স্ক্যান করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।

লক্ষণ

সত্যি কথা বলতে গলব্লাডার পলিপের কোনো লক্ষণ ধরা পড়ে না, বলে জানান ডঃ রানা। তবে কয়েকজনের ক্ষেত্রে খুবই সাধারণ একটি অ্যাবডোমিনাল পেইন বা ব্যথা অনুভূত হয় যার নাম ‘বিলিয়ারি কলিক’। এই ব্যথাটি গলব্লাডারের থেকেই উৎপত্তি হয়ে থাকে। তবে এই ব্যথাটি মূলত হয় গলব্লাডার স্টোন হলে। এবং যখন এই ব্যথা হওয়ার পরও চিকিৎসক কোনো স্টোন গলব্লাডারে দেখতে পান না তখন একে গলব্লাডার পলিপের লক্ষণ হিসেবে ধরা হয়।

চিকিৎসা

আকার যদি ১ সেন্টিমিটারের কম হয় যদি পলিপের আকার ১ সেন্টিমিটারের কম হয়ে থাকে তাহলে কোনো ধরণের বাড়তি চিকিৎসার প্রয়োজন হয় না। শুধুমাত্র চিকিৎসকের পরামর্শে কিছু বিষয় মেনে চললেই হয়। এবং নিয়মিত চেকআপের মধ্যে থাকা জরুরী। যাদের গলব্লাডারের পলিপ ১ সেন্টিমিটারের কম হয় তাদের আমরা মূলত ৩ থেকে ৬ মাস পরপর চেকআপের পরামর্শ দিয়ে থাকি, যা টানা কয়েক বছর মেনে চলা উচিত, বলে জানান ডঃ রানা। এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, নিয়মিত চেকআপের মধ্যে থাকলে বোঝা যায় এটি আর বাড়ছে কিনা এবং ক্যান্সারের দিকে মোড় নেবে কিনা। সেকারণেই নিয়ম মেনে চেকআপ করানো জরুরী। আকার যদি ১ সেন্টিমিটারের বেশী হয় যদি পলিপের আকার ১ সেন্টিমিটারের বেশী হয় তাহলে সার্জারি করে তা ফেলে দেয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন বিশেষজ্ঞরা। এই পদ্ধতিকে বলা হয় ‘cholecystectomy’। পরামর্শ দিয়েছেন ডঃ রানা চৌধুরী (এমবিবিএস) জনসেবা স্বাস্থ্য ক্লিনিক দক্ষিণ আজমপুর উত্তরা, ঢাকা-১২৩০