ছবি বা গ্রাফিক্স নিয়ে যারা কাজ করেন তাদের সবাই কমবেশি JPEG শব্দটির সাথে পরিচিত। এটি একটি ফাইল ফরম্যাট। ওয়েবে ছবি তৈরি এবং আদানপ্রদানে এই ফরম্যাট বহুল ভাবে ব্যবহৃত হয়। এর পুর্ণরূপ হচ্ছে “জয়েন্ট ফটোগ্রাফিক এক্সপার্টস গ্রুপ”( Joint Photographic Experts Group)। জয়েন্ট ফটোগ্রাফিক এক্সপার্টস গ্রুপ নামের একটি কমিটি এই ফরম্যাটটি ডেভেলপ করেছে বলেই এর নামকরণ করা হয়েছে কমিটির নাম অনুসারে।

JPEG হচ্ছে একটি কম্প্রেসড (compressed) ইমেজ ফাইল ফরমেট। GIF এর মত JPEG কিছু নির্দিষ্ট রঙের জন্য সীমাবদ্ধ নয়। তাই JPEG ফরম্যাটের ইমেজগুলো অনেক বেশি রংচঙে এবং হাই রেজ্যুলেশন সম্পন্ন হয়। তবে JPEG ফরম্যাটে ইমেজকে কম্প্রেস করার সাথে সাথে কমতে থাকে ছবির মান। যখন আপনি কোন একটি ইমেজকে বেশী পরিমাণ কম্প্রেস করবেন ইমেজটি তত বেশি ব্লকি (জুম করার কারণে ফেটে যাওয়া) হয়ে উঠবে। তারপরও ইমেজ কম্প্রেস করার জন্য সবচেয়ে ভালো পদ্ধতি এই JPEG। এই ফরম্যাটের ইমেজ ক্রসপ্ল্যাটফরম অর্থাৎ এটি ম্যাক এবং পিসিতে দেখতে একইরকম। JPEG এর ফাইল এক্সটেনশন হচ্ছে .jpeg অথবা .jpg। JPEG ইমেজ কোয়ালিটি অনেক ভালো। ‘লসি কমপ্রেশন’ ব্যবহার করে বলে ডিজিটাল ফটোগ্রাফিতে এটি সুন্দর কাজ দেয়। এক্ষেত্রে কমপ্রেশন রেশিও কম বেশী করে ছবিকে বিভিন্ন মানে তৈরি করা সম্ভব। পাশের ছবিতে দেখুন, JPEG ফরম্যাটের এই তিনটি ছবির কোয়ালিটি তিন রকম। প্রথমটি হাইয়েষ্ট কোয়ালিটি। এটিকে বলা হয় (Q = ১০০)। দ্বিতীয়টি(Q = ২৫) এবং শেষটি (Q = ১)। ডিজিটাল ছবির জন্য JPEG ‘র জন্য প্রচুর সফটওয়্যার রয়েছে। তার মধ্যে বেশ কিছু ফ্রী সফটওয়্যারও রয়েছে। এই ফরম্যাটের সমস্যা হল, এতে শুধু ছবি নিয়েই কাজ করা যায়। লাইন ড্রইং, টেক্সট বা আইকন গ্রাফিক্স এর ক্ষেত্রে এটি খুব একটা উপযোগী নয়। এজন্য মেডিক্যাল ইমেজিং, টেকনিক্যাল ইমেজ প্রসেসিং এসকল ক্ষেত্রে এই ফরম্যাট ব্যবহার করা হয় না।